সমকালীন প্রতিবেদন : বাড়ি থেকে অনেকটা দূরে আত্মীয় বানি থেকে নাবালিকার বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছিল। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে খবর পেয়ে সেই বিয়ে আটকালো প্রশাসন। মুচলেকা নেওয়া হল পরিবারের লোকেদের কাছ থেকে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনা ঘটেছে বনগাঁ থানা এলাকায়।
বয়স সবে চোদ্দ ছুঁই ছুঁই। আর সেই নাবালিকাকেই লুকিয়ে বিয়ে দিচ্ছিলেন বাড়ির লোকেরা। তবে শেষ রক্ষা হলো না। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিয়ের আসরে হানা দিল পুলিশ প্রশাসন। শেষমেষ উদ্ধার হল নাবালিকা। নাবালিকার মেয়ের বিয়ে দেব না বলে মুচলেকা দিয়ে এ যাত্রায় রক্ষা পেল বাড়ির লোকেরা।
বৃহস্পতিবার বনগাঁ থানার রেলবাজার পল্লীশ্রী এলাকার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গেছে, ওই নাবালিকার বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদ থানা এলাকায়। তার বয়স ১৪ বছর। বাবা নেই। মা কোনওরকমে কাজ করে সংসার চালান। দরিদ্র পরিবারের মেয়েটিকে বিয়ে দিয়ে নিশ্চিন্ত হতে চেয়েছিলেন মা।
আর তাই গোপনে পাত্র ঠিক করে বনগাঁর পল্লীশ্রী এলাকার বাসিন্দা বাপি বিশ্বাসের ছেলে সৌরভ বিশ্বাস সাথে মেয়ের বাড়ির লোকেরা তার বিয়ে দিচ্ছিলেন। ছেলে পেশায় রংমিস্ত্রি। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে সেই খবর পৌঁছে যায় প্রশাসনের কাছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বনগাঁ পুলিশ প্রশাসন।
বিয়ে বন্ধ করে নাবালিকাকে উদ্ধারের পাশাপাশি বাড়ির লোকের কাছ থেকে মুচলেখা নেয় পুলিশ। পাত্রের মা জানান, ওই নাবালিকার মা বিড়ি বেঁধে কোনওরকমে সংসার চালান। একটা ছেলে অসুস্থ। ওরা মেয়ের বিয়ে দিয়ে নিশ্চিন্ত হতে চেয়েছিল। যদিও পাত্রপক্ষের দাবি, নাবালিকা মেয়ের বিয়ে দেওয়া যায় না, এটা তারা জানতেন না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন