Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বুধবার, ৫ মার্চ, ২০২৫

সুগন্ধি ছাড়াই সুবাসিত থাকুন সুগন্ধি হরমোনের মাধ্যমে

 ‌

Aromatic-hormones

সমকালীন প্রতিবেদন : ডিও, পারফিউম বা সেন্টের দিন শেষ! এবার সুগন্ধি ছাড়াই থাকুন সুবাসিত। কিভাবে? একটা হরমোন করবে সেই কাজ। কিভাবে সেই হরমোনকে নিয়ন্ত্রণ করবেন আপনি? কি কি করলে ডিও বা পারফিউমের কাজ করবে আপনার শরীরের "স্ট্রেস হরমোন"? থাকুন চাপমুক্ত।‌ সুগন্ধি ছাড়াই গ্রীষ্ম কাটবে আপনার। আর কি কি করবেন? ডিটেইল থাকছে আজকের এই প্রতিবেদনে।

"কর্টিসল" করবে কামাল। এটাই সেই "স্ট্রেস হরমোন"! পুষ্টিবিদদের একাংশ বলছেন, এই কর্টিসলের মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে গেলেই আমাদের শরীরে ঘাম বেশি হয়। যা থেকে শরীরে ব্যাক্টেরিয়া এবং দুর্গন্ধ তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাছাড়া, অতিরিক্ত চাপের জন্য কর্টিসল ক্ষরণ বেশি হলে শারীরিক দুর্গন্ধের পাশাপাশি, ওজন বৃদ্ধি, হজমের সমস্যাও হতে পারে। তাহলে সেইসব সমস্যা দূর করতে কি করা জরুরী? 

শুধু শারীরিক পরিচ্ছন্নতা নয়, সার্বিক জীবনযাপন, হ্যাঁ মানে আপনাকে আপনার লাইফস্টাইলে বদল আনতে হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। সেক্ষেত্রে শুরুটা হোক একদম সকাল থেকে। 

ক) সকালে ১৫ মিনিট রোদ্দুর মাখুন শরীরে। কারণ পুষ্টিবিদ্যার মতে, সকালের রোদ আমাদের দেহঘড়িকে ছন্দে রাখে, যা পরোক্ষে আমাদের কর্টিসল ক্ষরণকেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এছাড়া সকালের রোদ শরীরের সেরোটোনিনের মাত্রাকেও বাড়িয়ে দিতে পারে। সেরোটোনিন মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করে।

খ) একইসঙ্গে সকালে শারীরিক কসরত মানে যোগা বা ওয়ার্ক আউট করা দরকার। অন্তত মিনিট ২০ যদি কোনও ব্যায়াম করা যায়, তবে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। তাতেও মানসিক চাপ কমে। 

গ) এরপর ডিরেক্ট আসি খাওয়া দাওয়ায়। পুষ্টিবিদদের পরামর্শ মেনে স্বাস্থ্যকর স্নেহপদার্থ খেয়ে দিন শুরু করুন। যেমন ধরুন, ভেজানো কাঠবাদাম, আখরোট। আসলে এগুলো হরমোনের মাত্রা কন্ট্রোল করতে সাহায্য করে। মনে রাখবেন এগুলো কিন্তু আপনার মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যও ভালো রাখে। তাই সকালের ডায়েট প্ল্যান সেভাবে বুঝে শুনেই সেট করুন। 

ঘ) কিন্তু শুধু খেলে হবে না। যে কোনও খাবার খাওয়ার আগে ১-২ মিনিট গভীরভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিন। এভাবে শরীরে মানসিক চাপের প্রতিক্রিয়া কম হয়। এমনকি এতে হজমশক্তিও ভালো থাকে।

ঙ) একইসঙ্গে জানা উচিত কি খাবেন বা কি ধরনের খাবার খাওয়া আপনার মানসিক চাপ কমাতে বা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ভালো? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক্ষেত্রে বেশি প্রায়োরিটি দিন ম্যাগনেশিয়াম যুক্ত খাবারকে। ওগুলোই বেশি করে খান। কারণ, ম্যাগনেশিয়াম শরীরে উত্তেজনা কমিয়ে মন মেজাজ হালকা করতে সাহায্য করে। কলা, কুমড়োর বীজ, কাঠবাদামে ম্যাগনেশিয়াম আছে। এগুলোকে আপনার ডায়েটে অ্যাড করুন।

চ) আর একটা জিনিস মাথায় রাখবেন। কফি এবং চিনি জাতীয় খাবার কাজ করার ক্ষমতা এক লহমায় বাড়িয়ে দেয় ঠিক। কিন্তু একই সঙ্গে ক্যাফিন এবং চিনি দুটোই কর্টিসল ক্ষরণের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এমনকি অতিরিক্ত ক্যাফিন বা চিনি জাতীয় খাবার কর্টিসলের ব্যালেন্স নষ্টও করতে পারে। এই বিষয়টা অবশ্যই মাথায় রাখুন।

ছ) আর খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা পয়েন্ট হল জল। জল বেশি খাওয়া জরুরি। অনেক সময় শরীরে আর্দ্রতার মাত্রা কমে গেলে তা থেকেও ঘামের দুর্গন্ধ হতে পারে। তাই প্রচুর পরিমাণে জল খান। শরীরকে হাইড্রেটেড রাখুন। সুস্থ থাকুন। ভালো থাকুন। সুগন্ধি ছাড়াই সুবাসিত থাকুন।‌





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন