Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

রবিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০২৪

পেট্রাপোল সীমান্তে দুই প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন অমিত শাহ

 ‌

Amit-Shah

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌ দক্ষিন এশিয়ার সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বানিজ্য এবং যাত্রী পরিবহন আরও বাড়ানোর পাশাপাশি পরিষেবার উন্নয়নে রবিবার নবনির্মিত দুই প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। উপস্থিত ছিলেন আর এক রাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর, এলপিএআই এর চেয়ারম্যান আদিত্য মিশ্র, বিএসএফের মহা নির্দেশক দলজিৎ সিং সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় পদস্থ আধিকারিকেরা।

পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বানিজ্যের পরিমান বাড়াতে এবং ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যাতায়াতকারী যাত্রীদের সুবিধার্থে বেশ কিছু পরিকল্পনা করে কেন্দ্র সরকারি। তারই অঙ্গ হিসেবে কেন্দ্রের অর্থ সাহায্যে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি অত্যাধুনিক যাত্রী টার্মিনাল তৈরি করা হয়েছে।

নতুন এই টার্মিনালে এয়ারপোর্টের মতো সমস্তরকম সুবিধা মিলবে যাত্রীদের। সেখানে ফুড কোর্ট, শৌচালয়, বিশ্রামাগার, চিকিৎসা সহ বিভিন্ন পরিষেবা মিলবে। দ্রুততার সঙ্গে যাতে যাত্রীদের কাগজপত্রের কাজ হয়, সেদিকটিও নজরে রাখা হয়েছে। এদিন এই টার্মিনালের উদ্বোধন হলেও এখনই তার পরিষেবা মিলছে না। কারণ, এখনও কিছু কাজ বাকি রয়েছে।

এর পাশাপাশি, বানিজ্যে গতি আনতে সীমান্তে ৪ লেনের দ্বিতীয় কার্গো গেট নির্মান করা হয়েছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে 'মৈত্রী দুয়ার'‌। ২০২৩ সালের ৯ মে এই দুই প্রকল্পের শিলান্যাস করেছিলেন অমিত শাহ। আর তার প্রায় দেড় বছর পর এই দুই প্রকল্পের উদ্বোধনও করলেন তিনি। ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার এই তৎপরতায় সন্তোষপ্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

এদিন তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, দক্ষিন এশিয়ার বড় এবং ব্যস্ত এই স্থলবন্দর দিয়ে দেএর ৭০ শতাংশ বানিজ্য হয়। ২০২৩–২৪ আর্থিক বছরে দেশে ১২টি স্থলবন্দর দিয়ে ৭১ হাজার কোটি টাকার বানিজ্য হয়েছে। ২০১৬–১৭ সালে এই সীমান্ত দিয়ে ১৮ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছিল। আর শেষ অর্থবর্ষে অর্থাৎ ২০২৩–২৪ সালে ৩০ হাজার ৫০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে। এর পাশাপাশি বেড়েছে কর্মসংস্থান। 

তিনি আরও বলেন, ২০২৩-২৪ সালে এই সীমান্ত দিয়ে ভারত বাংলাদেশের মধ্যে যাত্রী পারাপার করেছেন প্রায় ২৪ লক্ষ। এই সীমান্ত দিয়ে যে পরিমান বাংলাদেশি মানুষ ভারতে প্রবেশ করেন, তার একটি বড় অংশ কল্যানী এইমস এ চিকিৎসা করাতে আসেন। অর্থনৈতিক দিক থেকে এটা ভালো দিক। আগামী দিনে এই সীমান্তকে এলপিএআই এর মাধ্যমে আরো উন্নয়ন ঘটানো হবে।

এর পাশাপাশি এদিন রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে অমিত শাহ বলেন, রাজ্যের অসহযোগিতায় কেন্দ্রের স্বাস্থ্যবিমার পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন মানুষ। ২০২৬ সালে পরিবর্তন হলে রাজ্যের প্রত্যেকে এই পরিষেবা পাবেন। 

২০২৬ সালে পরিবর্তন হলে সীমান্তে অনুপ্রবেশ কমবে, রাজ্যে শান্তি ফিরবে। রাজ্যে আচ্ছে দিন শুরু হবে। কেন্দ্রের এনডিএ জোট সরকার এই রাজ্যকে কত টাকা অর্থ সাহায্য করেছে, তারও পরিসংখ্যান তুলে ধরেন তিনি।





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন