সমকালীন প্রতিবেদন : আর জি কর কাণ্ডে এবার পথে নামলেন বনগাঁর আইনজীবী এবং ল ক্লার্ক। বুধবার কর্মবিরতি পালন করে প্রতিবাদে সামিল হন আইনজীবী এবং ল ক্লার্কেরা। আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিলেন মহিলা আইনজীবী এবং ল ক্লার্কেরা।
আর জি কর হাসপাতালের চিকিৎসকের ওপর বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড নেমে আসার ঘটনার পর থেকে তোলপাড় রাজ্যসহ গোটা দেশ। বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিবাদের ঝড় উঠছে। প্রত্যেকেরই দাবি, উপযুক্ত দোষীদের খুঁজে বের করে কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। প্রশাসনকে এমনভাবে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এমন ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা না করে।
আর জি করের মহিলা চিকিৎসকের উপর নেমে আসা নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বনগাঁ আদালতের মহিলা আইনজীবীরা জানান, এই ঘটনা আমাদের সমাজের লজ্জা। তাই এমন ঘটনার বিরুদ্ধে তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি। পশ্চিমবঙ্গ যেন আতঙ্কমুক্ত এবং ধর্ষকমুক্ত হয় তার প্রতিজ্ঞা নেওয়ার সময় এসেছে। প্রশাসন, সরকারকে এব্যাপারে নিরপেক্ষভাবে কঠোর পদক্ষেপ করতে হবে।
এদিন দুপুরে বনগাঁর দুটি বারের যৌথ উদ্যোগে আদালত চত্বর থেকে একটি প্রতিবাদ মিছিল চাকদা রোড, রায় ব্রিজ, মতিগঞ্জ, রাখালদাস সেতু হয়ে বাটা মোড় পৌঁছায়। সেখানে রাস্তার চারিধারে গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে গোল হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন আইনজীবী এবং লক্লার্ক। পথচলতি মানুষদের এব্যাপারে সচেতন করার জন্য বক্তব্য পেশ করা হয়। এরপর কোর্ট রোড ধরে আদালত চত্বরে এই মিছিল শেষ হয়।
বনগাঁ ল ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সমীর দাস বলেন, 'আর জি কর হাসপাতালের ঘটনা আমাদের তীব্র লজ্জায় ফেলেছে। এইরকম ঘটনা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তাই চিকিৎসকদের পাশাপাশি আমরাও পথে নেমেছি। তবে চিকিৎসকদের প্রতি অনুরোধ, তাঁরা যে জরুরী পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত, তা বন্ধ করে রোগীদের বিপদে না ফেলা হয়। আন্দোলনের পাশাপাশি তাঁরা যেন পরিষেবা চালু রাখেন।'
এদিকে, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আর জি কর কান্ডের তদন্তের দায়িত্ব নিল সিবিআই। এদিন দিল্লি থেকে সিবিআইএর একটি বিশেষ দল কলকাতায় এসে পৌঁছায়। তারা আর জি কর হাসপাতালের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি, ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তদন্তের কাজ শুরু করেছে সিবিআই।
অন্যদিকে, আর জি কর কান্ডের প্রতিবাদে আজ রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে রাজ্য জুড়ে প্রায় আড়াইশোটি জায়গায় মিলিত হচ্ছেন পুরুষ, মহিলা সহ সমাজের সমস্তস্তরের সচেতন নাগরিকেরা।
মহিলাদের রাত দখলের এই অভিযানে ব্যাপক সাড়া মিলেছে। এই আন্দোলনে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে কলকাতা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ এবং ওলা–উবের কর্তৃপক্ষ। এই আন্দোলনে সামিল হচ্ছেন শাসক দলের একাধিক জনপ্রতিনিধিও।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন