সমকালীন প্রতিবেদন : আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হলো এই বছরের উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল। সঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে মেধা তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। এদিন দুপুর ১ টা নাগাদ সাংবাদিক বৈঠক করে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল প্রকাশ করেন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য।
চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলেছিল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। এবার উচ্চমাধ্যমিকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৮ লক্ষ। এবারে পরীক্ষা শেষের ৬৯ দিনের মাথায় ফলাফল প্রকাশ করেছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
এবছর উচ্চমাধ্যমিকে ৪৯৬ পেয়ে প্রথম হয়েছেন আলিপুরদুয়ারের ম্যাক উইলিয়ামস হাইস্কুলের অভীক দাস। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের সৌম্যদীপ সাহা। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৫। তৃতীয় স্থানাধিকারী মালদা জেলার অভিষেক গুপ্ত। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৪।
চতুর্থ স্থানে এবং মেয়েদের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছেন কোচবিহারের সুনীতি অ্যাকাডেমির ছাত্রী প্রতীচী রায় তালুকদার এবং চন্দননগরের কৃষ্ণভাবিনী নারীশিক্ষা মন্দিরের স্নেহা ঘোষ। দুজনেরই প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৩। পঞ্চম হয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি হাইস্কুলের পড়ুয়া সায়ন্তন মাইতি। প্রাপ্ত নম্বর ৪৯২।
এবছর পাশের হারে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর। জেলাভিত্তিক পাশের হারের নিরিখে কলকাতা আছে পাঁচ নম্বরে। প্রায় ৮৯.৯৯ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাশ করেছে উচ্চমাধ্যমিকে। বিজ্ঞান বিভাগে পাশের হার ৯৭ শতাংশ। তবে কলা বিভাগে পাশের হার ৮৮.২ শতাংশ।
এছাড়া, প্রথম দশের তালিকায় রয়েছে হুগলি জেলার ১৩ জন, বাঁকুড়ার ৯ জন, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৭ জন এবং কলকাতার ৫ জন পরীক্ষার্থী। মাধ্যমিকের ন্যায় উচ্চমাধ্যমিকেও মেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল অনেকটাই বেশি। এবছর মেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৫৬ শতাংশ, যেখানে ছেলে পরীক্ষার্থী ছিল ৪৪ শতাংশ।
উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সূত্রে জানা গেছে, এবারে ৬০টি বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। যার মধ্যে ১৫টি ভাষার পরীক্ষা হয়। সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানান, এবার কোনও বিষয়েই প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি।
প্রশ্ন ফাঁস আটকাতে প্রতিটি প্রশ্নপত্রে কিউআর কোড ব্যবহার করা হয়েছিল। এছাড়া, ৪১ জন পরীক্ষার্থী মোবাইল নিয়ে ঢুকেছিলেন। তাঁদের মোবাইল এবং অ্যাডমিট কার্ড বাতিল করা হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন