সমকালীন প্রতিবেদন : ভারত হল শূন্যের অবিষ্কর্তা আর্যভট্টর দেশ। আর এই দেশেই জন্ম হয়েছিল এক অঙ্কের জাহাজের। ১৮৮৭ সালে তামিলনাড়ুর ইরোড গ্রামে একটি শিশুর জন্ম হয়েছিল, পরবর্তীতে তিনি শুধু দেশেই নন, বিদেশেও অনেক খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
তাঁর নাম ছিল রামানুজন। তাঁকেই গণিতের জাদুকর বলা হয়। তার পিছনে অবশ্য অনেক কারণ রয়েছে। রামানুজন মাত্র ১২ বছর বয়সে ত্রিকোণমিতি আয়ত্ত করেন। কোনও সাহায্য ছাড়াই, তিনি নিজে থেকে অনেক তত্ত্ব তৈরি করেছিলেন, যা কঠিন গণিত সমস্যার সমাধান করেছিল।
তবে এই শিশু শৈশবে পড়াশোনায় আগ্রহী ছিলেন না। তার উপরে বাড়ির আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে, অনেক সময় খালি পেটে ঘুমাতে হতো তাঁকে। তবে তা সত্ত্বেও তাঁর গণিতের সাম্রাজ্যে কখনো সংখ্যার অভাব ঘটেনি।
তাই হয়তো তিনি সেই বিষয়ে আগ্রহী ছিলেন, যেখান থেকে প্রায় সব শিশুই পালিয়ে যায়। মাত্র ১৬ বছর বয়সে তিনি পাঁচ হাজারেরও বেশি উপপাদ্য প্রমাণ করেছেন। এমনকি সবচেয়ে জ্ঞানী ব্যক্তিরাও এটি করতে পারেননি। তাঁর কিছু সূত্র কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়।
লন্ডনে ডাকা হয়েছিল তাঁকে, যেখানে অধ্যাপক হার্ডি গণিতবিদদের দক্ষতা পরীক্ষা করার জন্য শুন্য থেকে একশো পয়েন্টের একটি স্কেল তৈরি করেছিলেন, যেখানে রামানুজন একশো পয়েন্ট পেয়েছিলেন। তাই তাঁকে বলা হয় বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ গণিতবিদ।
তবে এই রামানুজনের জীবন ছিল খুবই সংক্ষিপ্ত। লন্ডনে তিনি যখন একের পর এক কীর্তি করছেন, যখন তিনি উপপাদ্য ও গাণিতিক তত্ত্ব তৈরি করছেন, কাজ করছেন মক থিটা ফাংশন নিয়ে, তখন তাঁকে অসুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে হয়।
কারণ, তখন তাঁর শরীরে দানা বেঁধেছে দুরারোগ্য রোগ। অস্ত্রোপচার করা হয় তাঁর শরীরে। কিন্তু তারপরেও তাঁর টিবি ভালো করা সম্ভব হয়নি। তাই মাত্র ৩২ বছর বয়সে মৃত্যু হয় রামানুজনের। এই মহান ব্যক্তিত্বের জীবন পর্দায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
হ্যাঁ, রামানুজনের উপর একটি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে এবং আপনি এটি বিনামূল্যে দেখতে পারেন। ইউটিউবে রয়েছে সেই ছবি। তাই এটি দেখে জানুন যে, পুরানো দিনে আমাদের ভারতবর্ষ কতটা পুণ্যভূমি ছিল, যেখানে জন্ম হতো এমন সব মহাপুরুষের।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন