সমকালীন প্রতিবেদন : বিগত এক সপ্তাহ ধরে লাগাতার তাপপ্রবাহ চলছে দক্ষিণবঙ্গে। যার জেরে রীতিমতো বিপর্যস্ত জনজীবন। খটখটে আবহাওয়া দেখা যাচ্ছে জেলায় জেলায়। বৃষ্টির দেখা মিলেছিল সেই গত মাসে। প্রায় একমাস ভেজেনি মাটি।
সেই কারণে দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সর্বত্র তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির ওপরে। কোথাও কোথাও ৪৫ ডিগ্রিও পার করেছে পারদ। তবে শীঘ্রই এই দহন জ্বালা জুড়োবে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
চলতি সপ্তাহেই রাজ্যের একাধিক জেলায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গেল, সব ঠিক থাকলে আগামী রবিবার অর্থাৎ ৫ মে থেকেই বৃষ্টি শুরু হতে পারে দক্ষিণবঙ্গে।
আবহাওয়া দফতরের সঙ্গে যুক্ত আবহাওয়াবিদেরাই এই তথ্য জানিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, আগামী রবিবার বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে দখিন বাতাস প্রবেশ করবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। আবহবিদদের ব্যাখ্যা, এই দখিনা বাতাসই বাংলায় ঝড়বৃষ্টি আনে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাঁরা দেখেছেন রবিবার ওই দখিন বাতাস দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করে আবার উল্টো দিকে ঘুরে যাচ্ছে। এমনটা হলে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা তৈরি হয়। ফলে সব ঠিক থাকলে রবিবার থেকেই গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টি শুরু হতে পারে। যা চলবে অন্তত ৬ তারিখ পর্যন্ত।
পরে দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলা এবং উপকূলবর্তী জেলাগুলিতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে। তবে আবহাওয়া দফতর সরকারিভাবে এখনই এই নিয়ে কোনও ঘোষণা করছে না। কারণ, তারা আরও কিছুদিন এই আবহাওয়ার গতিপ্রকৃতির উপর নজর রাখতে চাইছে।
চলতি সপ্তাহে বৃষ্টির জেরে নামতে পারে তাপমাত্রা। দমবে লু এর প্রভাবও। ওদিকে, আজও জোড়া ঘূর্ণাবর্তের জেরে উত্তরবঙ্গের দার্জিলঙে, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়িতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে।
পাশাপাশি ঘন্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে। আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারেও হালকা বৃষ্টি হতে পারে। উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, মালদহ, উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহারে গরম থাকলেও শুক্রবার থেকে তাপপ্রবাহের কোনও সতর্কতা নেই।
সোমবারের পর মঙ্গল, বুধবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জেলায়। মূলত পাহাড়ি জেলাগুলি ভিজতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন