সমকালীন প্রতিবেদন : সাংসদ হিসেবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে মতুয়াদের আরাধ্য দেবতাকে অসম্মান করা হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার বনগাঁয় প্রতিবাদ এবং ধিক্কার মিছিল বের করা হল। উপস্থিত ছিলেন মমতা ঠাকুর, বিশ্বজিৎ দাস, গোপাল শেঠ, রতন ঘোষ সহ মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি এবং সাধারণ তৃণমূল কর্মীরা।
রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে বুধবার দিল্লিতে শপথ গ্রহণে গিয়েছিলেন মমতা ঠাকুর। সেখানে প্রথমে মতুয়াদের আরাধ্য দেবতা হরিচাঁদ–গুরুচাঁদ ঠাকুরের নাম নিয়ে শপথ বাক্য পাঠ করছিলেন তিনি। অভিযোগ, হরিচাঁদ–গুরুচাঁদ ঠাকুরের নাম নেওয়ার কারণে তাঁকে মাঝপথে থামিয়ে দেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
এরপর কাগজে বাংলায় যে লেখা তাঁকে দেওয়া হয়, সেই লেখা অনুযায়ী শপথ বাক্য পাঠ করেন মমতা ঠাকুর। শপথ গ্রহণ করে বেরিয়ে আসার সময় দিল্লিতেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন মমতা ঠাকুর। মতুয়া সম্প্রদায়কে অসম্মান করার বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুশিয়ারিও দিয়েছিলেন তিনি।
সেই মতো বৃহস্পতিবার বিকেলে মতুয়া ভক্তদের নিয়ে বনগাঁয় প্রতিবাদ এবং ধিক্কার মিছিল করেন মমতা ঠাকুর। এই প্রতিবাদ মিছিলে শামিল হন বনগাঁ লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস, পুরপ্রধান গোপাল শেঠ সহ অন্যান্যরা।
এদিন বনগাঁর ত্রিকোণ পার্ক থেকে শুরু করে মতিগঞ্জ হয়ে বাটা মোড়ে শেষ হয় এই মিছিল। বাটা মোড়ে জগদীপ ধনকড়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং শান্তনু ঠাকুরের কুশপুতুল দাহ করা হয়। ডাঙ্কা, নিশান হাতে নিয়ে মিছিলে শামিল হন মতুয়ারা।
এদিনের কর্মসূচি সম্পর্কে মমতা ঠাকুর বলেন, 'মতুয়াদের ভোট পেতে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ বড়মার কাছে ছুটে এসেছিলেন। আর তাঁরাই আজ মতুয়াদের আরাধ্য দেবতাকে অসম্মান করলেন। এর আগে শপথ গ্রহণে এমন ঘটনা ঘটে নি। এর জবাব লোকসভা নির্বাচনে মতুয়ারা দেবেন।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন