Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

স্কুলের অর্ধেক শিক্ষক-শিক্ষিকারই একসঙ্গে চাকরি বাতিল

job cancellation

সমকালীন প্রতিবেদন : সোমবার এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০১৬ সালের গোটা প্যানেলকেই বাতিল করে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ সাব্বির রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়। এমনকি সুপার নিউমেরিক পোস্টে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের সুদ সমেত বেতনও ফেরত দিতে হবে। সেক্ষেত্রে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে চার সপ্তাহ। 

ওই বাতিল হওয়া প্যানেলে রয়েছে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা ব্লকের অর্জুনপুর হাইস্কুলের ৩৬ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার নাম। সোমবার আদালতের নির্দেশের পর এই স্কুলের পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষকের কথায়, 'প্রায় ১০ হাজারের মতো পড়ুয়া। 

এক সঙ্গে এত জন শিক্ষকের চাকরি প্রশ্নের মুখে পড়লে স্কুল চলবে কী দিয়ে!'‌ তিনি জানান, চাকরি যাওয়া ওই ৩৬ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার মধ্যে ২০ জন ওই স্কুলেই যোগদান করেছিলেন। বাকি ১৬ জন বিভিন্ন স্কুল থেকে বদলি হয়ে এসেছিলেন।

উল্লেখ্য, ফরাক্কার এই অর্জুনপুর হাইস্কুলের মোট শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা ৬০। এই স্কুলে পার্শ্বশিক্ষক রয়েছেন সাত জন। আর এখন এক ধাক্কায় ৩৬ জনের চাকরি বাতিল হওয়ায় মোট শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা হল ২৪ জন। 

কিন্তু মাত্র ২৪ জন স্থায়ী শিক্ষক-শিক্ষিকাকে দিয়ে কী ভাবে ১০ হাজার পড়ুয়ার পঠনপাঠন হবে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকেরাও। কপালে চিন্তার ভাঁজ স্কুল কর্তৃপক্ষের। শুধু এই স্কুলটিই নয়, ফারাক্কা ব্লকের আরও বেশ কিছু স্কুলের একই দশা। 

এখানকার নয়নসুখ উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১৯ জন শিক্ষক এবং একজন গ্রুপ সি কর্মীর চাকরি চলে গিয়েছে। উল্লেখ্য, এই স্কুলে আগে ৫৫ জন শিক্ষক ছিলেন। এখন তা কমে গিয়ে ৩৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এই স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা কয়েক হাজার। 

ফলে স্কুলের পঠনপাঠন ব্যাহত হবে বলেই মনে করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। যদিও এসএসসি-র তরফে ইতিমধ্যেই এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জমা পড়েছে। চাকরিহারা স্বচ্ছ পরীক্ষার্থীরাও আলাদাভাবে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছেন। 

পাশাপাশি, চাকরিহারা শিক্ষক–শিক্ষিকাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীও। এখন দেখার, শেষ পর্যন্ত কোন দিকে মোড় নেয় চাকরিহারাদের ভাগ্য।





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন