Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

সোমবার, ১ এপ্রিল, ২০২৪

জলপাইগুড়ির আচমকা ঝড় কিসের ইঙ্গিত? এটা কি প্রকৃতির প্রতিশোধ?

 

Cyclone-at-Jalpaiguri

সমকালীন প্রতিবেদন : রবিবার ব্যাপক ঘূর্ণিঝড়ে কার্যত লন্ডভন্ড হয়ে গেছে জলপাইগুড়ি জেলার অনেক স্থান। বহু গাছ উপড়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য বাড়ি। এই বিপর্যয়ে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় আহতের সংখ্যাটা বাড়তে বাড়তে দেড়শো পেরিয়েছে। 

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, রবিবার বিকেলের ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জলপাইগুড়ি শহর, ধূপগুড়ি, ময়নাগুড়ি। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাতকাটা ও ময়নাগুড়ি এলাকার ডেঙ্গুয়াঝাড় চা-বাগান ও ধূপগুড়ি এলাকায়। 

এইসব এলাকায় অনেকের ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে পড়েছে। তাই আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন বহু মানুষ। প্রশাসনের তরফে উদ্ধারকাজ চলছে দ্রুতগতিতে। এই ঝড়ের তান্ডবের খবর পেয়ে সেখানে ছুটে গেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। 

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, জলপাইগুড়িতে কিভাবে টর্নেডো তৈরি হল? টর্নেডো না হলে এই ঝড় আসলে কী? তা জানতে চাওয়া হলে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানায়, বিষয়টি নিয়ে তারা এখনও নিশ্চিত নয়। 

কারণ, জলপাইগুড়িতে তাঁদের পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র নেই। তাই ছবি বা ভিডিয়ো তাঁদের কাছে আসেনি। তবে যে ভিডিয়োটি ছড়িয়ে পড়েছে, তা দেখে তাদের মনে হচ্ছে, এই ঝড় মিনি টর্নেডো হতে পারে। তবে কালবৈশাখী নয়। 

মার্চের এই সময় এই ধরনের ঝড় বিরল হলেও অস্বাভাবিক নয়। এর আগেও এ রাজ্যে এমন মিনি টর্নেডো হতে দেখা গিয়েছে। আচমকা এমন বিপর্যয় কিসের ইঙ্গিত? এই ঘটনা প্রকৃতির প্রতিশোধের তত্বকে উস্কে দিচ্ছে। 

কারণ, রাষ্ট্রসঙ্ঘের রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রকৃতির উপর যে ক্রমাগত অত্যাচার হয়ে চলেছে, তা যদি নিয়ন্ত্রণ না করা যায়, তাহলে ২০৩০ সাল আসতে আসতে বিশ্বজুড়ে প্রতিবছর অন্তত ৫৬০টি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটবে। 

২০১৫ সালে ৪০০টিরও বেশি দুর্যোগ দেখেছিল দুনিয়া। ঝড়, বন্যা, অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে রাসায়নিক দুর্ঘটনা, এমনকি অতিমারিও রয়েছে এই দুর্যোগের তালিকায়। জলপাইগুড়ির টর্নেডো কি তেমন কিছুই? প্রশ্নটা উঠছে।






কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন