সমকালীন প্রতিবেদন : হামেশাই বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডের দুর্দান্ত সব ছবি তোলে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। আর সেই ছবিগুলিই একরাশ মুগ্ধতা ছড়িয়ে দেয় মহাকাশ-প্রেমীদের মনে। আগেও হাবল টেলিস্কোপে অতীতের ছবি দেখেও চমকে উঠেছিল গোটা পৃথিবী।
আসলে যাঁরা পৃথিবী এবং মহাকাশের সুন্দর সুন্দর নানা ছবি এবং শিক্ষামূলক ভিডিও দেখতে পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য নাসাকে একটি খনিই বলা যায়। আর এবার এই খনিতেই মিললো এক হিরের গ্রহের সন্ধান। সেটি আবার রয়েছে আমাদের এই সৌরজগতের মধ্যেই।
আজ্ঞে হ্যাঁ, আমাদের সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে এই হিরের গ্রহ। সবথেকে অবাক করার বিষয় হল, এই অদ্ভুতদর্শন গ্রহ আবার রয়েছে সূর্যের সবথেকে কাছে। তাহলে এই গ্রহের নামটি কি? সম্প্রতি, নাসা সৌরজগতের সবথেকে ছোটো গ্রহের অত্যাশ্চর্য ছবি শেয়ার করেছে, যেখানে ছোটো গ্রহটিকে হিরের টুকরোর মতো দেখতে লাগছে।
মেসেঞ্জার এই গ্রহটিকে প্রদক্ষিণ করার সময় এই ছবিটি তুলেছে। নাসা সম্প্রতি বুধগ্রহের এই অত্যাশ্চর্য ছবি শেয়ার করেছে, যা সৌরজগতের সবথেকে ছোটো গ্রহ। সূর্যের সবথেকে কাছের। আর সূর্যের সবথেকে কাছাকাছি থাকা সত্ত্বেও বুধ আমাদের সৌরজগতের সবথেকে উষ্ণ গ্রহ নয়।
বুধ গ্রহটি সবচেয়ে ছোট গ্রহ হতে পারে, তবে এটি সবথেকে দ্রুতগতির। প্রতি সেকেন্ডে ৪৭ কিমি বেগে তার কক্ষপথে ভ্রমণ করে। বুধ মাত্র ৮৮ দিনে একবার সূর্যকে ঘুরে আসতে পারে। অর্থাৎ ৮৮ পার্থিব দিনে বুধের একটি বছর।
জানা গেছে, এই ছবিটি তুলেছে মেসেঞ্জার। আসলে এটাই ছিল ওই গ্রহকে প্রদক্ষিণকারী প্রথম মহাকাশযান। এটি কালার-এনহ্যান্সড মানচিত্র সংগ্রহ করেছে।
যাতে ওই গ্রহের পৃষ্ঠতলে থাকা পাথরের রাসায়নিক, খনিজ এবং প্রাকৃতিক পদার্থের প্রভেদ করা সম্ভব হয়। এর প্রাথমিক লক্ষ্য হল, এই গ্রহের ভূতাত্ত্বিক, চৌম্বকীয় ক্ষেত্র এবং রাসায়নিক গঠন পঠনপাঠন করা।
আর সেসবের মাঝে বিশ্ববাসীকে অবাক করে দিলো নাসার এই মহাকাশযান। হয়তো আগেও মিলবে এমন কিছু মজার, কিছু আশ্চর্যের ছবি এবং তথ্য। আর এভাবেই একটু একটু করে খুলে যাবে আমাদের অজানা সৌরজগতের রহস্যের দরজা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন