Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০২৪

ঠাকুরনগর থেকে শুরু হল তৃণমূলের সিএএ বিরোধী আন্দোলন

 ‌

Anti-CAA-movement

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন অর্থাৎ সিএএ লাগু করা নিয়ে মতুয়া সমাজ ইতিমধ্যেই দ্বিধাবিভক্ত। একপক্ষ সিএএ লাগু করাতে আনন্দিত, আবার অন্যপক্ষ বিপদের আশঙ্কায় এর বিরোধীতা শুরু করেছেন। আর তাই তাকে কেন্দ্র করে শুরু হল আন্দোলন।

সোমবার দেশজুড়ে লাগু হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন অর্থাৎ সিএএ। কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে এব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি হতেই আনন্দে মেতে ওঠেন মতুয়া ভক্তদের একাংশ। ওই দিন সন্ধে থেকে ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়িতে ডঙ্কা, কাস নিয়ে মাতামাতি শুরু করেন মতুয়ারা।

এব্যাপারে একদিকে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের দাবি, সিএএ নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার আইন। অন্যদিকে বিজেপির বক্তব্য, সিএএ নিয়ে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে তৃণমূল। সিএএ আইন লাগু হবে শোনার পর থেকেই বেঁকে বসে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। 

সিএএ লাগু করার বিরোধীতা করে শুক্রবার মতুয়াগড় গাইঘাটার ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়ি থেকে শুরু হয় সিএএ বিরোধী প্রতিবাদ মিছিল। মিছিলে নেতৃত্ব দেন সারা ভারত মতুয়া মহাসংঘের সঙ্ঘাধিপতি তথা তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। 

এব্যাপারে মমতাবালা ঠাকুর বলেন, '‌আমার স্বামী, শ্বশুরের দীর্ঘদিনের আন্দোলন ছিল যাতে মতুয়রা নিঃশর্ত নাগরিকত্ব পায়। কিন্তু কেন্দ্রের বিজেপি সরকার সিএএ নোটিফিকেশনে উল্লেখ করেছে যে ৯টি কাগজপত্র দেখাতে হবে।' 

মমতা ঠাকুর এও বলেন, '‌মতুয়ারা কাগজপত্র কোথা থেকে পাবেন। তারা ধর্মীয় নির্যাতনের কারণে ওপার বাংলা থেকে এদেশে চলে আসতে বাধ্য হয়েছেন।'‌ এই প্রতিবাদ মিছিল শুরু হয় ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়ি থেকে। মিছিল ঠাকুরনগর বাজার ঘুরে ফের ঠাকুরবাড়িতে এসে শেষ হয়।  

মমতা ঠাকুর এদিন হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, ঠাকুরনগর থেকে এই আন্দোলন শুরু হল। আগামী দিনে এই আন্দোলন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়বে। মিছিল থেকে এদিন স্লোগান তোলা হয়, সিএএ হল কেন্দ্র সরকারের ভাওতাবাজি। এটা মতুয়ারা মানছে না। 




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন