Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

রহস্যময় ব্ল্যাকহোলের পোলারাইজেশন মাপায় সাফল্য প্রবাসী বাঙালী বিজ্ঞানীর

 

Picture-of-blackhole

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সবথেকে রহস্যময় জিনিসগুলির একটি। কৃষ্ণগহ্বরের একটি ছবি তোলা পর্যন্ত অসম্ভব হয়ে ওঠে। কারণ, আলো পর্যন্ত এর গ্রাস থেকে মুক্তি পায় না। তবে এবারে এই কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাক হোল নিয়েই এক দুর্দান্ত সাফল্য এলো বিজ্ঞানীদের হাতে। 

আর এই সাফল্যের পিছনে রয়েছেন আমাদেরই বাংলার ছেলে, রানীগঞ্জের ভূমিপুত্র তন্ময় চট্টোপাধ্যায়। যে কাজ গত ৪০ বছর ধরে বারংবার চেষ্টা করেও করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি, তা করে দেখিয়েছেন তন্ময় এবং তাঁর দল। 

সিগনাস এক্স-১ নামে ব্ল্যাকহোলের পোলারাইজ়েশন মাপায় সফল হয়েছেন তাঁরা। বর্তমানে আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত তন্ময়। তন্ময়ের স্কুলজীবন কেটেছে রানিগঞ্জ বয়েজ হাইস্কুলে। 

সেখান থেকে পাস করে পরবর্তী পড়াশোনার জন্য বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। ২০১১ সাল থেকে তিনি কাজ করেছেন ভারতের অ্যাস্ট্রোনমি স্পেস টেলিস্কোপ অ্যাস্ট্রোস্যাট-এর উপরে। 

বর্তমানে তিনি আমেরিকার বাসিন্দা। সেখানকার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ফিজিক্স এবং অ্যাস্ট্রোফিজিক্স বিভাগের বিজ্ঞানী হিসেবে কর্মরত। শেষ পর্যন্ত সফলতা হাতে আসলেও এত সহজ ছিল না সেটি অর্জন করা। 

অ্যাস্ট্রোনমি স্পেস টেলিস্কোপ অ্যাস্ট্রোস্যাটের সাহায্যে কৃষ্ণ গহ্বরের পোলারাইজ়েশন মাপা বেশ কঠিন কাজ। আর সেই জন্যই ১২ বছর ধরে এই পদ্ধতিকে আরো উন্নত করতে শুরু করেছিলেন তন্ময়। 

তারপরেই এই প্রথমবার ব্ল্যাকহোলের পোলারাইজেশন বিশদে মাপতে সক্ষম হয়েছেন তাঁরা। এখন তন্ময় স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত অবস্থায় নাসার 'ফিউচার অ্যস্ট্রোনমিক্যাল স্পেস টেলিস্কোপ মিশন'-এ কাজ করছেন। 

তন্ময় ও তার দলের এই গবেষণার কথা আমেরিকার অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির দ্বারা প্রকাশিত পত্রিকাতে ছাপা হয়েছে। গত বেশ কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে তন্ময়রা এই ফলাফল পেয়েছেন। 

তন্ময়ের আশা, তাঁদের এই সফলতার কারণে ভবিষ্যতে কৃষ্ণগহ্বর সম্পর্কে আরও তথ্য এবং তা কিভাবে তৈরি হয়, তার সম্পর্কে বিশদে জানা যাবে। এর আগে ২০১৮ সালে তন্ময় অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি অব ইন্ডিয়া থেকেও পুরষ্কৃত হয়েছিলেন। 

বর্তমানে আসানসোলে বসবাসকারী বনানী চট্টোপাধ্যায় অর্থাৎ তন্ময়ের মা সহ প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজনেরা তন্ময় এবং তাঁর দলের এই সফলতার কারণে অত্যন্ত খুশি। আজ প্রত্যেকেরই কথা এই যে, তন্ময়ের মতো ছেলেরাই বর্তমানে বাংলা তথা ভারতের নাম এইভাবে দেশ-বিদেশে উজ্জ্বল করে তুলছেন।






কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন