সমকালীন প্রতিবেদন : উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির ঘটনার প্রতিবাদে এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে হেনস্থা ও গ্রেপ্তারের ঘটনার প্রতিবাদে বনগাঁ পুলিশ সুপারের অফিসের কাছে ঝাঁটা হাতে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপির যুব ও মহিলা মোর্চার সদস্যরা।
উল্লেখ্য, স্থানীয় মহিলাদের আন্দোলনের জেরে গত কয়েকদিন ধরেই উত্তর হয়ে রয়েছে সন্দেশখালি এলাকা। এলাকার তৃণমূল নেতাদের দ্বারা মহিলাদের উপর অত্যাচার সহ নানা অভিযোগ সামনে এসেছে। আর তার জেরেই পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে উঠেছে।
এই ঘটনার প্রভাব পড়েছে রাজ্য রাজ্যনীতিতে। বিরোধীরা আন্দোলনে নেমেছে। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সন্দেশখালি এলাকায় যান। তাঁর সেই আন্দোলনকে ঘিরে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ওই এলাকা।
আন্দোলনের জেরে শেষ পর্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়েন রাজ্য সভাপতি। পরে তাঁকে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিজেপির অভিযোগ, পুলিশের অসহযোগিতার কারণে সন্দেশখালি এলাকার এই অবস্থা। আর তার প্রতিবাদ জানাতে গিয়েই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন রাজ্য সভাপতি।
এই গোটা পরিস্থিতির জেরে পুলিশের উর ক্ষোভ বাড়ছে জানাচ্ছে বিজেপি নেতৃত্ব। আর তারই অঙ্গ হিসেবে বৃহস্পতিবার দুপুরে বনগাঁ পুলিশ জেলার সুপারের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি নেয় বিজেপি। দলের যুব মোর্চা ও মহিলা মোর্চার পক্ষ থেকে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়।
বিজেপির এই কর্মসূচিকে ঘিরে যাতে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তারজন্য পুলিশি ব্যবস্থা ছিল জোরদার। পুলিশের পক্ষ থেকে একাধিক জায়গায় বাঁশ ও লোহার ব্যারিকেড তৈরি করা হয়। পুলিশ সুপারের দপ্তরের সামনের রাস্তা এদিন একপ্রকার বন্ধ রাখা হয়।
এদিন বিজেপির যুব মোর্চা এবং মহিলা মোর্চার পক্ষ থেকে মিছিল করে পুলিশ সুপারের অফিসের কাছে যাওয়ার চেষ্টা হয়। কিন্তু কিছুটা আগেই একটি ব্যারিকেডের সামনে সেই মিছিল আটকে দেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা সেখানেই অবস্থান বিক্ষোভ করেন।
এদিন মহিলা মোর্চার কর্মীরা হাতে ঝাঁটা নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে স্লোগান দেন। পরে বিজেপির ৪ জনের এক প্রতিনিধিদল পুলিশের ঘেরাটোপে পুলিশ সুপারের দপ্তরে গিয়ে স্মারকলিপি জমা দেয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন