সমকালীন প্রতিবেদন : বিভিন্ন সময় আইএএস, আইপিএস-দের স্বপ্নপূরণের গল্প অনুপ্রেরণা জোগায় অনেক তরুণ তরুণীকে। আজ তেমনই এক কৃতী পরীক্ষার্থীর কাহিনী তুলে ধরবো এই প্রতিবেদনে। তিনি আর কেউ নন, আইএএস অফিসার প্রিয়াঙ্কা গোয়েল।
একটানা পাঁচবার ফেল করেও যিনি হাল ছাড়েননি। তাই ষষ্ঠবারের পরীক্ষায় ইউপিএসসি জয় করেন প্রিয়াঙ্কা। আজ তিনি দেশের উচ্চপদস্থ অফিসার পদে কর্মরত। তবে এটা তো গল্পের ক্লাইম্যাক্স।
প্রিয়াঙ্কার গল্পের শুরুটা ছিল অন্যরকম। রাজধানী দিল্লির মেয়ে ছিলেন প্রিয়াঙ্কা গোয়েল। পড়াশোনা করেছেন কেশব মহাবিদ্যালয়ে। কমার্স নিয়ে স্নাতক স্তর পাশ করেছেন প্রিয়াঙ্কা।
বি.কম পাশ করতেই ঠিক করেন তিনি ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসবেন। সেই সময় থেকে তাঁর পাখির চোখ হয়ে ওঠে ইউপিএসসির সিভিল সার্ভিস। খাতা-কলমের লড়াইয়ের সাথে মনোবল ও ইচ্ছাশক্তির যুদ্ধ লড়তে থাকেন প্রিয়াঙ্কা।
হাড়ভাঙা পরিশ্রমের পরেও তার জীবনে পর পর ব্যর্থতা নেমে আসে। একটু সময়ের জন্য মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন প্রিয়াঙ্কা। তবে তিনি মোটেই হাল ছাড়ার পাত্রী ছিলেন না।
তাই প্রতিবার ফেল করার পর নতুন করে পরবর্তীর প্রস্তুতি শুরু করতেন। এককথায়, প্রিয়াঙ্কাও 'রিস্টার্ট থিওরি'তে বিশ্বাসী ছিলেন। সেই কারণেই হয়তো পাঁচবার লাগাতার ফেল করার পর অবশেষে তাঁর স্বপ্ন পূরণ হয়।
ষষ্ঠবারে লক্ষ্যভেদ করে আইএএস অধিকারিক পদে নিয়োগ পান প্রিয়াঙ্কা গোয়েল। সারা দেশের মধ্যে মেধাতালিকায় তাঁর স্থান ছিল ৩৬৯। ২০২৩ সালে আইএএস হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছেন তিনি।
সেই কারণেই প্রিয়াঙ্কা গোয়েল সকল ইউপিএসসি পরীক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা। তিনি প্রমাণ করেছেন ইচ্ছেশক্তি, মনোবল ও হাল না ছাড়ার মানসিকতা থাকলে, যে কোনো মানুষ যে কোনো অসম্ভবকেই সম্ভব করতে পারেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন