Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

'আইকন অফ দা সিজ' বর্তমানে পৃথিবীর সবথেকে বড় এবং বিলাসবহুল জাহাজ

Luxury-ship

সমকালীন প্রতিবেদন : বিশ্বের বৃহত্তম ক্রুজ জাহাজ,'আইকন অফ দা সিজ্' চলে এসেছে সকলকে অবাক করে দেবার জন্য। কয়েকশো ইঞ্জিনিয়ার এবং কারিগররা মিলে এই দু:সাহসিক কাজকে সফল করে তুলেছেন৷ 

এই ক্রুজ একটি জাহাজের থেকেও আরো বেশি কিছু, এমনকি একে মানুষ দ্বারা তৈরি আর্কিটেকচারাল মার্ভেল বললেও কম বলা হয়। সূর্যাস্তের আগে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মায়ামি বন্দর থেকে সম্প্রতি যাত্রা শুরু করে জাহাজটি।

৩৬৫  মিটারের বিস্ময়কর দৈর্ঘ্যের এই বিলাসবহুল ক্রুজে  মোট ২০টি ডেক রয়েছে। গোটা জাহাজে সর্বোচ্চ ৭৬০০ জন যাত্রী থাকতে পারবেন একসাথে। আর জাহাজের ক্রু মেম্বারদের জুড়ে দিলে জাহাজের টোটাল ক্যাপাসিটি প্রায় ১০ হাজার জনের সমান হয়ে যায়। 

ফলে এত জন যাত্রীর জন্য জাহাজটিতে আরামদায়ক কেবিন থেকে শুরু করে প্যানোরামিক সমুদ্রের দৃশ্য সহ অসামান্য লাক্সারি সুইট রুম পর্যন্ত বিভিন্ন ধরণের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।

রয়্যাল ক্যারিবিয়ান গ্রুপের মালিকানাধীন এই প্রমোদতরী মায়ামি থেকে পশ্চিম ক্যারিবিয়ান পর্যন্ত চলবে। 'আইকন অফ দা সিজ্' ক্রুসটির নজরকাড়া বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে একটি হল সেন্ট্রাল পার্ক এলাকা, জাহাজের মাঝখানে অবস্থিত একটি স্নিগ্ধ এবং প্রাণবন্ত সবুজ স্থান। 

এই সেন্ট্রাল পার্ক এলাকাটি ২০ হাজারেরও বেশি ট্রপিকাল গাছপালা দ্বারা বেষ্টিত। সমুদ্রের মাঝে থাকাকালীনও যাত্রীরা যাতে প্রকৃতি ও গাছপালার নির্মলতা উপভোগ করতে পারেন, সেই জন্যই এই ব্যবস্থা।

বর্তমানে এই জাহাজের সবথেকে কম দামের টিকিট ১হাজার ৭৫৬ ডলার। আর সব থেকে মূল্যবান টিকিট ১০ হাজার ডলার। সব থেকে দামি রুমের ক্ষেত্রে আপনি পেয়ে যাবেন পুরো ৭ দিনের ট্রিপের জন্য 'দ্যা আল্টিমেট ফ্যামিলি টাউনহাউস'। 

টিকিটের এত দাম হওয়ার কারণও আছে বৈকি। এই বিশাল প্রমোদতরীটি করতেও কম খরচ হয়নি। প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হয়েছে এটি তৈরি করার পেছনে। 

এই জাহাজে প্রায় ৪০টিরও বেশি রেস্তোরাঁ সহ লাউঞ্জ, বার ও বিনোদনস্থল রয়েছে। রয়েছে ছটি ওয়াটার স্লাইড, সাতটি সুইমিং পুল, অডিটোরিয়াম সহ একটি  আইস স্কেটিং এর জায়গা। 

যেহেতু জাহাজটি তরল প্রাকৃতিক গ্যাস অর্থাৎ এলএনজি দ্বারা চালিত, সেহেতু পরিবেশবিদদের মতে, মেরিন ফুয়েল এর থেকে ১২০ শতাংশ বেশি গ্রিনহাউস গ্যাস উৎপন্ন করবে এই এলএনজি।

সবশেষে বলা যেতেই পারে যে, পরিবেশের উপরে নেতিবাচক প্রভাব এর একটি প্রশ্ন গায়ে লেগে থাকলেও অতুলনীয় বিলাসিতায় ভরা এই ভাসমান শহর সকলের মন কেড়ে নিয়েছে।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন