Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২৪

যেকোনো পরিস্থিতিতে হাজার বছর অক্ষত থাকবে অযোধ্যার রামমন্দির

 Ram-Mandir-in-Ayodhya

সমকালীন প্রতিবেদন : সোমবার অযোধ্যার রামমন্দিরে প্রাণপ্রতিষ্ঠা হল রামলালার। তাঁবু থেকে রামলালা ফিরলেন তাঁর নিজের ঘরে। গোটা মন্দির এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। তার আগে মূল মন্দির তৈরি করে সেখানেই হয়ে গেল প্রাণপ্রতিষ্ঠা। 

নাগারা স্টাইলে তৈরি এই রামমন্দিরের প্রধান বৈশিষ্ট হল তিনতলা সমান এই মন্দির তৈরিতে ব্যবহার করা হয়নি কোনও ইস্পাত বা লোহা। শুধুমাত্র নির্মাণ শৈলীর উপরে ভর করে দাঁড়িয়ে রয়েছে প্রায় কুতুব মিনারের কাছাকাছি উচ্চতার রাম মন্দির। 

এতটা বিশাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই মন্দির যথেষ্ট দৃঢ় হবে বলে বিশ্বাস নির্মাতাদের। ভারতীয় ঐতিহ্য বজায় রেখে তৈরি হয়েছে স্থাপত্তের এই অনবদ্য সৃষ্টি। মন্দিরের ডিজাইন করেছেন চন্দ্রকান্ত বি সোমপুরা। 

দেশের কিছু নামী বিজ্ঞানী এই মন্দির তৈরির পেছনে রয়েছেন। সাহায্য নেওয়া হয়েছে ইসরোর। অযোধ্যায় ২.৭ একর জমির উপরে দাঁড়িয়ে রয়েছে মন্দির। মন্দিরের উচ্চতা ১৬১ ফুট, চওড়া ২৩৫ ফুট। 

তিনতলা সমান উচ্চতার রামমন্দিরের এলাকার আয়তন ৫৭০০০ বর্গ ফুট। মন্দিরের উচ্চতা কুতুব মিনারের ৭০ শতাংশের সমান। মোট ৩০০ বিশালাকার পিলারের উপরে দাঁড়িয়ে রয়েছে মন্দির। বসানো হয়েছে ৪৪টি শাল কাঠের দরজা। 

বিভিন্ন আকারের ৩০ লাখ ইট কাজে লাগানো হয়েছে মন্দির নির্মাণে। ওইসব ইটে লেখা রয়েছে শ্রীরামের নাম। কিন্তু কেন এতটা অটল এই মন্দির? উল্লেখ্য, এই রামমন্দির যে নাগারা স্থাপত্য শৈলীতে তৈরি হয়েছে, তা মূলত শুরু হয়েছিল গুপ্ত রাজাদের সময়ে। 

এই ধরনের শৈলীতে কোনও লোহার কাঠামো ব্যবহার করা হয় না। সাধারণভাবে লোহার আয়ু ৮০-৯০ বছর। আর রামমন্দির তৈরি হয়েছে গ্রানাইট, স্যান্ডস্টোন, মার্বল দিয়ে। ওই সব পাথর একটির সঙ্গে অন্যটি জোড়া লাগানো হয়েছে 'লক অ্যান্ড কী'‌ প্রযুক্তিতে। 

বলা হচ্ছে, এই মন্দিরের স্থায়ীত্ব হাজার বছর। একইসঙ্গে নির্মাতাদের মতে, শক্তিশালী ভূমিকম্পেও কোনো ক্ষতি হবে না এই মন্দিরের। তাই আগামী বেশ কয়েক প্রজন্মের কাছে যে এটি এক মহান স্থাপত্য হতে চলেছে, তাতে সন্দেহের অবকাশ নেই। 







কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন