সমকালীন প্রতিবেদন : 'যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে।' সেকথাই আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন মহকুমা শাসক নেহা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক কাজ, ঝুট-ঝামেলা সামলান বলে কি আর শিল্পী হতে পারেন না! আইএএস অফিসার নেহা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই ভুল ভাঙলেন।
পেশায় তিনি বাঁকুড়ার খাতড়ার মহকুমা শাসক, আর শখে শিল্পী। বাঁকুড়ার প্রসিদ্ধ বিষ্ণুপুর মেলা ও মুকুটমনিপুর মেলায় মহকুমা শাসক নেহা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গান শুনে মুগ্ধ সকলে। বুঝিয়ে দিলেন তিনি সামান্য নন, যথেষ্ঠ গুনী শিল্পী।
বাঁকুড়া জেলার দক্ষ এবং ব্যস্ততম প্রশাসক হিসাবেই পরিচিত নেহা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তিনিই আবার ভীষণ গুনী সঙ্গীতশিল্পীও বটে। হাজারও ব্যস্ততার ফাঁকে নিয়মিত রেওয়াজটাও যে এখনও চালিয়ে যান, তা বুঝিয়ে দিলেন।
বিভিন্ন অনুষ্ঠানে একাধিকবার তাঁর গান শোনার সুযোগ পেয়েছেন খাতড়া শহরের বাসিন্দারা। তাই এই মহকুমা শাসকের বহুমুখী প্রতিভা এখন চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে গোটা বাংলায়।
এক সাক্ষাৎকারে নেহা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তিনি বাঁকুড়ার খাতড়ার মহকুমা শাসক হলেও তাঁর জন্ম ও পড়াশোনা কলকাতায়। ছোটথেকেই তিনি গান শিখেছেন। যদিও দশম শ্রেণির পর সেটা আর হয়নি।
তবে তিনি কলেজে পড়ার সময়ও গান গাইতেন। আবার মুসৌরিতে প্রশিক্ষণ চলাকালীনও বেশকিছু স্টেজ প্রোগ্রাম করেছেন। আর চাকরি পেয়ে বাঁকুড়াতে যাওয়ার পর থেকে বেশকিছু অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন বলে জানান নেহা।
নেহা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, সরকারি আধিকারিক না হলে তিনি সঙ্গীতকেই পেশা হিসেবে বেছে নিতেন। তবে সরকারি, প্রশাসনিক দায়িত্ব সামলেও তিনি তৃপ্ত বলে জানান নেহা। হয়তো এভাবেই অনেক মহিলার কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে উঠছেন তিনি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন