সমকালীন প্রতিবেদন : সোমবার দুপুর থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত মৃদু এবং মাঝারি মাত্রার কম্পনে ১৫৫ বার কেঁপে উঠেছে জাপান। এগুলির মধ্যে রিখটার স্কেলে কম্পনের সর্বোচ্চ যে মাত্রা ধরা পড়েছে, তা হল ৭.৬। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কম্পনের মাত্রা ৬।
অন্য কম্পনগুলির অধিকাংশেরই মাত্রা ৩ বা তারও কম। তবে এগুলি কম্পন বা আফটারশক, তা নিয়ে নানা মত রয়েছে ভূবিজ্ঞানীদের মধ্যেই। আমেরিকার ভূতত্ত্ব সর্বেক্ষণের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার দুপুরে জাপানের মূল ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল হনসু দ্বীপের ইশিকাওয়া। যার মাত্রা ছিল ৭.৫।
সোমবার দুপুর ১টা নাগাদ এই কম্পনেই প্রথম কেঁপে ওঠে জাপান। ভূমিকম্পের পরেই জাপানের বেশ কয়েকটি উপকূল এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি হয়। আশঙ্কাকে সত্যি করে সে দেশের পশ্চিম উপকূল সংলগ্ন একাধিক শহরে ফুঁসে ওঠে সমুদ্র। কোথাও কোথাও ঢেউয়ের উচ্চতা চার ফুট পর্যন্ত ওঠে।
কিন্তু কেন এত ভূমিকম্প হচ্ছে জাপানে? প্রযুক্তির এত উন্নতি সত্ত্বেও এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ঠেকানো যাচ্ছে না কেন? ভূকম্পন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জাপানের ভৌগোলিক অবস্থানই ভূমিকম্পের কারণ।
ভৌগোলিক দিক থেকে প্রশান্ত মহাসাগরের রিং অব ফায়ারে রয়েছে জাপান। ওই অঞ্চলে প্রায় ৪৫২টি আগ্নেয়গিরি রয়েছে। মাঝেমধ্যেই জেগে ওঠে সেইসব সক্রিয় আগ্নেয়গিরি। ভূপৃষ্ঠের অন্দরে সবসময়েই প্রবল শক্তি তৈরি হতে থাকে।
অস্থির টেকটনিক প্লেটগুলো ধাক্কা মারে একে অপরকে। কখনও একটি প্লেট ঢুকে যায় অন্য প্লেটের ভেতরে। এর কারণেও ভূগর্ভে প্রচণ্ড তাপ ও শক্তি তৈরি হয়।
এই কারণেও প্রশান্ত মহাসাগরের রিং অব ফায়ার জ়োনে যে সব দেশ রয়েছে যেমন জাপান, টোঙ্গো, দক্ষিণ আমেরিকার ইকুয়েডর সবকটিই ভূমিকম্পপ্রবণ।
তাই একদিনে ১৫৫টি ভূমিকম্প হওয়া তাই আশ্চর্যের নয়। বিজ্ঞানীরা বলছেন, যখনই ওই প্লেটগুলির মধ্যে সংঘর্ষ তীব্র থেকে তীব্রতর হবে, তখনই কেঁপে উঠবে সমুদ্রগর্ভ।
ভয়ঙ্কর সুনামির জন্ম হবে, ঠিক যেমন হয়েছিল ২০১১ সালে। ফের একবার তেমনই কম্পন হচ্ছে সমুদ্রগর্ভে। তাই ফের সুনামির সতর্কতা জারি হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন