Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বুধবার, ৩ জানুয়ারী, ২০২৪

বাস্তব জীবনে একের পর এক ধাক্কা খেয়েছেন অভিনেত্রী পল্লবী শর্মা

Actress-Pallavi-Sharma

সমকালীন প্রতিবেদন : বুদ্ধিমতী, মিশুকে, হাসিখুশি, প্রতিবাদী। বিয়ের পর যৌথ পরিবারে সবাইকে নিয়ে থাকতে পারে, ভালবাসে। কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে শাশুড়ি ও জায়ের সঙ্গে লড়াই করে নিজের জায়গা তৈরি করতে হয়। ‘নিম ফুলের মধু’-তে পর্ণার গল্পটি খানিকটা এমনই। 

বাস্তব জীবনেও পর্ণা অর্থাৎ পল্লবী শর্মার মতো লড়াকু মেয়েও কম দেখা যায়। তাও পর্ণার মতোই হাসিখুশি পল্লবী শর্মা। কিন্তু এই হাসির আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে তার কিছু চাপা দুঃখ। রয়েছে কিছু ফেলে আসা সময়, যা তার কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে তার কাছের মানুষগুলিকেও। 

জানা গেছে, পল্লবী যখন ক্লাস টু-তে পড়ে, সেই সময় তার মায়ের ব্রেন টিউমার ধরা পড়ে। তখন তার বাবা আর দাদা মিলে ছোটাছুটি করেছেন বেঙ্গালুরু থেকে কলকাতা। তখন ছোট্ট পল্লবী থাকতে শুরু করে পিসির কাছে। 

জীবনের সেই লড়াইয়ে চলে যান পল্লবীর মা। যদিও পিসির কাছে মায়ের ভালোবাসাই পাচ্ছিলেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে পল্লবী জানিয়েছিলেন যে, তাঁর পিসি অভিনয় জগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পিসির সঙ্গেই নাকি প্রথম আসেন শুটিংয়ের সেটে। 

সেখানে এক পরিচালকের সঙ্গে আলাপ। একটা ছোট্ট চরিত্রে মাসখানেক কাজও করেন। এরপর সব ঠিকঠাকই চলছিল। আইসিএসই পরীক্ষার আগের দিন বাড়ি থেকে দাদার ফোন আসে, বাবা অসুস্থ। দেখা করতে ছোটেন। 

বিছানায় শয্যাশায়ী বাবা অভয় দেন, যাতে পল্লবী তাঁর ক্লাস টেনের বোর্ড পরীক্ষা মন দিয়ে দেন। তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন জলদি। তবে তা হয়নি। বোর্ডের পরীক্ষার আগের ভোরবেলা খবর আসে, চলে গেছেন পল্লবীর বাবা না ফেরার দেশে। 

অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, অনেকেই তাঁকে পরীক্ষা না দেওয়ার পরামর্শ দেন। বছরটা ড্রপ দিতে বলেন। কিন্তু তিনি রাজি হননি। কারণ, তাঁর বাবা চাইতেন তিনি পরীক্ষাটা ভালো করে দিন। ওই অবস্থাতেই যান পরীক্ষা দিতে। 

আর তারপর স্কুল থেকে ফিরে বাবার পারলৌকিক কাজ করতে শ্মশানে যান। এদিকে যে পিসি তাঁকে মাতৃস্নেহে বড় করেছেন তিনিও এখন চলে গিয়েছেন।

বর্তমানে সফল অভিনেত্রী পল্লবী শর্মা থাকেন দাদা–বউদির সঙ্গেই। একটা ছোট্ট ভাইজিও আছে। খুব ছোট বয়সে আপন মানুষদের হারিয়ে ফেলায় সিরিয়ালের পর্ণার মতো তিনিও পরিবারকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতেই ভালোবাসেন। 






‌‌

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন