Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

সফলভাবে কক্ষপথ বদল করে পৃথিবীতে ফিরলো চন্দ্রযান-৩ এর প্রোপালশন মডিউল

Propulsion-module

সমকালীন প্রতিবেদন : চাঁদের বুকে ইতিমধ্যে একাধিক ইতিহাস লিখে দিয়েছে ভারত। পালকের মতো চাঁদের মাটি ছুঁয়ে বিশ্বকে চমকে দিয়েছে ভারত। গত ২৩ আগস্ট চন্দ্রযান-৩ সফলভাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে। এই সাফল্যে ভারতকে বাহবা দিয়েছে গোটা বিশ্ব। 

তবে এখানেই শেষ নয়, চাঁদের বুকে এক চন্দ্রদিবসের অর্ধেক সময় ধরে নানা গবেষণা করেছে চন্দ্রযান-৩-এর ল্যান্ডার ও রোভার। চাঁদের বুকে বরফের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া থেকে চাঁদের মাটিতে মিশে থাকা নানা খনিজের সন্ধান দিতে চলে পরীক্ষা নিরীক্ষা। 

কিন্তু চাঁদের এই কুমেরুতে সূর্যাস্ত নেমে আসার পরই ঘুমিয়ে পড়ে দুই  দোসর। তারপর থেকে একাধিকবার সেখানে সূর্যোদয় ঘটলেও প্রবল ঠান্ডা থেকে আর আড়মোড়া ভেঙে উঠতে পারেনি এই দুই যন্ত্র গবেষক। 

তবে এবার এই চন্দ্রযান-৩-এর বিষয়ে এলো আরো এক বড়সড় আপডেট। এবার চাঁদের কক্ষপথ থেকে পৃথিবীর কক্ষপথে ফিরে এলো চন্দ্রযান-৩-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। 

জানা গেছে, চাঁদের কক্ষপথে পাঠানো চন্দ্রযান-৩-এর প্রোপালশন মডিউলকে পৃথিবীর কক্ষপথে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। এই প্রোপালশন মডিউলে চেপেই চাঁদে পাড়ি দিয়েছিল বিক্রম ল্যান্ডার ও রোভার প্রজ্ঞান। 

সূত্রের খবর, এই প্রোপালশন মডিউলকে গত নভেম্বর মাসে থেকেই পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু করে দিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। চাঁদের কক্ষপথে চার পাক ঘুরেই নাকি সেটি গত ১০ নভেম্বর পৃথিবীর উদ্দেশ্যে আবার পাড়ি দেয় সেটি। 

গত ২২ নভেম্বর পৃথিবীর কক্ষপথের কাছে পৌঁছায় এই বৃহৎ যন্ত্রাংশ। জানা গেছে, এখন এটি পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরছে। বর্তমানে এটি পৃথিবীর চারদিকে প্রদক্ষিণ করছে। ইসরো জানিয়েছে, পৃথিবীর কক্ষপথে যে কৃত্রিম উপগ্রহগুলি ঘুরছে, সেগুলির সঙ্গে প্রোপালশন মডিউলের ধাক্কা লাগার কোনও সম্ভাবনা নেই।

আর এই কাজটি যে ভবিষ্যতে চাঁদে মানুষ পাঠানোর পথকে সুগম করতে চলেছে, তা মনে করছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। অর্থাৎ, মিশনের কয়েকমাস পরেও নতুন এক ইতিহাস তৈরী করে ফেললো ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। সঙ্গে খুলে গেল ভবিষ্যতের জন্য আরো এক ঐতিহাসিক দরজা। 





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন