Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

সোমবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৩

চাঁদের থেকেও ৪০ গুন দূরত্বের মহাকাশ থেকে ভেসে এল লেজার লাইট

 

Laser-light

সমকালীন প্রতিবেদন : মহাকাশ নিয়ে মানুষের মধ্যে কৌতূহলের শেষ নেই। তাই মহাকাশ থেকে পাওয়া নানা জিনিসের উপর গবেষণা চলতেই থাকে। আর এবার মহাকাশ থেকে পাঠানো এক লেজার সংকেতকে ঘিরে তৈরি হল শোরগোল। 

কারণ, এবার ১ কোটি ৬০ লক্ষ কিলোমিটার দূরত্ব থেকে সেই বার্তা আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসায় পৌঁছেছে। নাসা জানিয়েছে, যে দূরত্ব থেকে বার্তাটি এসেছে, তা পৃথিবী এবং চাঁদের দূরত্বের চেয়ে ৪০ গুণ বেশি। এটিই পৃথিবীর ইতিহাসে দীর্ঘতম পথ অতিক্রম করে আসা লেজার বার্তা বলে জানিয়েছে নাসা।

কিন্তু কে বা কারা পাঠাল এই বার্তা? তা হলে কি ভিনগ্রহীরা এই বার্তা পাঠাল? আদতে তেমনটা নয়। পৃথিবীরই এক মহাকাশযান থেকে এই বার্তা পৃথিবীতে এসে পৌঁছেছে। জানা গেছে, ‘সাইকি’ মহাকাশযানে ‘ডিপ স্পেস অপটিক্যাল কমিউনিকেশনস’ নামে এক বিশেষ যন্ত্র রয়েছে। 

সেই যন্ত্রের সাহায্যেই এই পরীক্ষা করা হয়েছে। ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে গত ১৩ অক্টোবর যাত্রা শুরু করেছিল সাইকি মহাকাশযানটি। যাত্রা শুরুর এক মাস পরে ১৪ নভেম্বর সেটি পৃথিবীতে একটি লেজার বার্তা পাঠাতে সফল হয়েছে।

উল্লেখ্য, এই সাইকি মহাকাশযানের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল, অনন্য ধাতব গ্রহাণু ‘সাইকি’তে পৌঁছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো। গন্তব্যে পৌঁছনোর পথে বার বার পৃথিবীর দিকে লেজার সঙ্কেত পাঠানোর কথা রয়েছে মহাকাশযানটির। 

মহাকাশযানটি ২০২৯ সালে গ্রহাণুতে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে সাইকি গ্রহাণুটি মঙ্গল এবং বৃহস্পতি গ্রহের মাঝে রয়েছে। আর এই সাইকি গ্রহাণুর প্রায় সমগ্র অংশ লোহা এবং নিকেল দিয়ে তৈরি। গ্রহাণুটির বেশ কিছু অংশ সোনা দিয়ে তৈরি বলেও দাবি করেন বিজ্ঞানীদের একাংশ। 

এর অর্থ, কোনও দেশ যদি এই বহুমূল্য পাথর দখল করতে সক্ষম হয়, তা হলে বিশ্বের অর্থনীতিকে সম্পূর্ণভাবে ভেঙে ফেলার ক্ষমতা থাকবে ওই দেশের। সেই চেষ্টাই করছে আমেরিকা। 






‌‌

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন