Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৩

নতুন গ্যাস কানেকশন নেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের নিতে হবে কম্পোজিট গ্যাস সিলিন্ডার

 

Composite-gas-cylinder

সমকালীন প্রতিবেদন : একেই রান্নার গ্যাস এবং বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম বৃদ্ধি নিয়ে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। তার উপর কেন্দ্রের নয়া নিয়মে একেবারে যেন গোঁদের উপর বিষফোঁড়া! কারণ, এবার থেকে লোহার সিলিন্ডারের বদলে কম্পোজিট সিলিন্ডারই নিতে হবে গ্রাহকদের। আর তারজন্য আবার অতিরিক্ত ৮০০ টাকাও দিতে হবে। 

যদিও খাতায় কলমে এমন কোনও নির্দেশিকা সরকারিভাবে এখনও আসেনি। তবে দাবি করা হচ্ছে, সংস্থার কর্তারা ডিলারদের এমনই নির্দেশ দিচ্ছে। পুরোদমে বিক্রি চালু না করলেও হিন্দুস্তান পেট্রলিয়াম আগেই এই বিশেষ সিলিন্ডার এনেছে।

রান্নার গ্যাসের বেড়ে চলা দাম নিয়ে অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারেই নাভিশ্বাস ওঠার যোগাড়! লোহার সিলিন্ডার সহ নতুন গ্যাস সংযোগ নিতে গেলে গ্রাহককে ২ হাজার ২০০ টাকা জমা করতে হয়। কিন্তু নয়া নিয়ম অনুযায়ী, সেই জায়গায় কম্পোজিট সিলিন্ডারের জন্য জমা করতে হবে ৩ হাজার টাকা। 

ডাবল সিলিন্ডারের সংযোগ নিলে দিতে হবে বর্তমান খরচের উপর আরও ১ হাজার ৬০০ টাকা। অর্থাৎ নতুন নিয়মে এক একটি সিলিন্ডারের জন্য অতিরিক্ত ৮০০ টাকা দিতে হবে গ্রাহককে। 

সেই সঙ্গে পুরোনো গ্রাহকেরা যাতে এখনকার লোহার সিলিন্ডার পাল্টে কম্পোজিট সিলিন্ডার নেন, তার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মূলত, গ্রাহকদের নিরাপত্তার বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। 

সাধারণভাবে যে এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহার করা হয়, তাতে গ্যাসের পরিমাণ থাকে ১৪.২ কেজি। এর পরে লোহার তৈরি সিলিন্ডারের ওজন রয়েছে। কিন্তু সেটা নেই কম্পোজিট সিলিন্ডারে। 

স্পষ্টভাবে বললে, মূল সিলিন্ডারটি তুলনায় অনেক হালকা হবে। হালকা হওয়ায় সহজে এদিক ওদিক করা যায়। যেটি খুবই সুবিধার। সেই সঙ্গে এই সিলিন্ডার যেভাবে বানানো হয়েছে, তাতে বাইরে থেকেই দেখা যাবে যে সিলিন্ডারের ভেতরে কতটা গ্যাস রয়েছে। 

সেক্ষেত্রে বাড়িতে জোড়া সিলিন্ডার না রেখে প্রয়োজনমতো সিলিন্ডার আনা যাবে। তাছাড়া, এই সিলিন্ডারে মরিচা ধরার সম্ভাবনা নেই। ফলে বাড়ির মেঝেতে সিলিন্ডার রাখার জন্য সাধারণভাবে যে দাগ পড়ে, তা এড়ানো সহজ হবে। সাধারণ এলপিজি সিলিন্ডারের ক্ষেত্রে যেমন প্রতি মাসের গোড়ায় দাম বদলায়, এক্ষেত্রেও তাই হবে। 

এই বিষয়ে গ্যাস ডিলারেরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ গ্রাহক ইন্ডিয়ান অয়েলের রান্নার গ্যাসই ব্যবহার করেন। সংস্থা থেকেই ডিলারদের নির্দেশ পাঠানো হচ্ছে যে, গ্রাহকদের কম্পোজিট সিলিন্ডারই নিতে হবে। অর্থাৎ আগামী দিনের জন্য দেশবাসীর ভরসা হতে চলেছে এই কম্পোজিট সিলিন্ডারই।‌






‌‌‌

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন