Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বৃহস্পতিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

বাড়িতে আপনি কত পরিমাণ নগদ টাকা জমিয়ে রাখতে পারেন?

 

Cash-at-home

সমকালীন প্রতিবেদন : আমরা এই জেনেই অভ্যস্ত যে, যাদের কাছে প্রচুর কালো টাকা আছে, তাদের বাড়িতেই আয়কর দপ্তরের হানা দেওয়ার সম্ভাববনা থাকে। কিন্তু আমার-আপনার মতো সাধারণ মানুষের উপরেও যে আয়কর দপ্তর বা ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টের নজর পরতে পারে, তা কি জানেন?

একটা সময় ছিল যখন বেশিরভাগ মানুষেরা ব্যাংকে টাকা রাখতেন কেবলমাত্র ভবিষ্যতের কথা ভেবে ফিক্সড ডিপোজিটের রূপে। বাকি টাকা থাকতো বাড়ির আলমারি অথবা লকারে। তবে এখন সময় বদলেছে। সাধারণ মানুষ সামান্য কিছু টাকা বাদে বাকিটুকু রাখতে পছন্দ করেন নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টেই। 

এরজন্য অবশ্যই সাধুবাদ জানাতে হবে 'ডিজিটাল ইন্ডিয়া' পদক্ষেপকে। তবে আজও বহু মানুষ বাড়িতেই টাকা রাখতে পছন্দ করেন। কিন্তু কত পরিমাণ নগদ টাকা বাড়িতে রাখা যাবে? আয়কর আইনের হিসেবে, বাড়িতে নগদ টাকা গচ্ছিত রাখার জন্য ভারতবর্ষে কোনো সর্বাধিক সীমা বেঁধে দেওয়া নেই। 

তাই কেউ চাইলে কোটি কোটি টাকাও বাড়িতে সঞ্চিত রাখতে পারেন। তবে একটাই শর্ত আছে, আপনার সঞ্চিত রাখা টাকার উপর আয়কর দপ্তরের সন্দেহ হলে আপনার বাড়িতেও তারা অভিযান চালাতে পারে এবং সেই সময় আপনাকে আপনার সঞ্চিত টাকার উৎস সম্পর্কে সমস্ত তথ্য পেশ করতে হবে। 

সঞ্চিত রাখা টাকার সমস্ত উৎস দেখাতে পারলে ঠিক আছে, নয়তো আয়কর দপ্তর হিসাব বহির্ভূত সমস্ত অর্থ বাজেয়াপ্ত করবে এবং সেক্ষেত্রে আপনার জরিমানা ও শাস্তি– দুইই হতে পারে। 

তবে এবাদেও আরো বেশ কিছু কারনে আপনি ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টের নজরে আসতে পারেন এবং জরিমানাও হতে পারে। চলুন এক এক করে সেই কারণগুলিও জেনে নেওয়া যাক।

১| এক অর্থ বছরে ২০ লক্ষ টাকার বেশি লেনদেন নগদে করতে চাইলে অবশ্যই তার হিসেব ও রোজগারের উৎস দেখাতে হবে। এই নিয়ম না মানলে ভারী জরিমানাও হতে পারে।

২| আয়কর আইনের ধারা ২৬৯ ST অনুসারে কোনো ব্যক্তি একটি একক লেনদেনের ক্ষেত্রে একদিনে একজনের কাছ থেকে ২ লক্ষ বা তার বেশি টাকা নগদে গ্রহণ করতে পারবেন না, এমনকি নিজের আত্মী‌য়ের কাছ থেকেও নয়। এই নিয়ম না মানলে সেই গ্রহণকারী ব্যক্তিকে নগদ হিসেবে প্রাপ্ত টাকার সমপরিমাণ জরিমানা দিতে হবে।

৩| এক অর্থ বছরে একটি সেভিংস অ্যাকাউন্টে নগদ জমা করার সর্বোচ্চ সীমা রয়েছে ১০ লক্ষ টাকা। কোনো ব্যক্তি এক বছরে এর থেকে বেশি জমা করতে চাইলে ব্যাংক এই সম্পর্কে আয়কর দপ্তরকে সূচিত করবে।

৪| ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে একদিনে হঠাৎ ১ লক্ষ টাকার বেশি লেনদেন করা হলেও আয়কর দপ্তর আপনার কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে।

উপরি উল্লেখিত বিভিন্ন কারণে আপনি ব্যাংক এবং আয়কর দপ্তরের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে পারেন। তবে আপনার কাছে সঞ্চিত সমস্ত টাকার ইনকামের সঠিক তথ্য থাকলে ও আয়করের সমস্ত নিয়ম মেনে চললে চিন্তা করার কোনো প্রয়োজন আপনার কখনোই পড়বে না।




‌‌

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন