সমকালীন প্রতিবেদন : কেটে গিয়েছে একমাস। এখনো মধ্যপ্রাচ্যের বাতাস থেকে মুছে যায়নি পোড়া বারুদের গন্ধ। মাস পেরিয়ে গেলেও হামাস-ইজরায়েল সংঘর্ষ থামার নাম নেই। এই পরিস্থিতিতে সেন্ট্রাল গাজার আল শিফা হাসপাতালের ছবি যেন নতুন করে যুদ্ধের নিষ্ঠুর কর্কশতাকে তুলে ধরছে।
লড়াইয়ের মাঝে পড়ে ইতিমধ্যেই দুই সদ্যোজাতের প্রাণহানি হয়েছে সেখানে। আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে আরও ৪৫টি শিশুকে নিয়ে। কারণ, ইজরায়েলি হামলায় জেনারেটরের সাহায্যে বিদ্যুৎ সরবরাহও থমকে গিয়েছে!
এর মধ্যেই ইজরায়েলি সেনা ঘোষণা করেছে, ওই শিশুদের হাসপাতাল থেকে সরিয়ে নিতে প্রস্তুত। তবে এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এবার নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল ভারত।
যুদ্ধের শুরু থেকে ইজরায়েলের পাশে দাঁড়ালেও, গাজা সহ প্যালেস্তাইনের একাধিক জায়গায় যে নির্মমতা, বর্বরতা চলছে রোজ, তার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে ভারত।
এবার রাষ্ট্রপুঞ্জেও অধিগৃহীত প্যালেস্তাইনের অঞ্চলে বসতি স্থাপনের কার্যকলাপের নিন্দা করা হল। পূর্ব জেরুজালেম ও অধিগৃহীত সিরিয়ান গোলানে বসতি স্থাপনের বিরোধিতায় ভোট দিল ভারত।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপুঞ্জে পূর্ব জেরুজালেম ও অধিগৃহীত সিরিয়ান গোলান সহ প্যালেস্তাইনের অঞ্চলে বসতি স্থাপন' নামক একটি প্রস্তাবনা পেশ করা হয়।
ভারত সহ রাষ্ট্রপুঞ্জের মোট ১৪৫টি সদস্য দেশ এই প্রস্তাবনার পক্ষে ভোট দেয়। এর বিরোধিতা করে আমেরিকা, কানাডা, হাঙ্গেরি, ইজরায়েল, মার্শাল আইল্যান্ড, নাউরু ও মাইক্রোনেশিয়া। ১৮টি দেশ ভোট দান থেকে বিরত থাকে।
প্রসঙ্গত, গত মাসে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদে জর্ডনের পেশ করা এক খসড়া প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত ছিল ভারত। ওই প্রস্তাবে ইসরায়েল-হামাস সংঘর্ষে অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হয়েছিল।
কিন্তু প্রস্তাবে হামাসের নাম উল্লেখ না থাকায় ভারত ওই প্রস্তাবে ভোট দেয়নি। তবে এবার ভারতের এই অবস্থান প্রশংসা পেয়েছে গোটা দেশে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন