Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

সোমবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৩

ধস নেমে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল পাহাড়, টানেলের ভেতরে আটকে ৪০ শ্রমিক

 

Workers-trapped-inside-the-tunnel

সমকালীন প্রতিবেদন : উত্তরাখণ্ড রাজ্যে একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটেই চলেছে। কখনো মেঘভাঙা বৃষ্টি, কখনো ভূমিকম্পে বিপর্যয়, আবার কখনো ধস নেমে সব ধূলিসাৎ হয়ে যাওয়া। তবে এবার দীপাবলির গভীর রাতে যা ঘটলো, তা হয়তো স্বপ্নেও ভাবেনি কেউ। 

রবিবার গভীর রাতে উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে জাতীয় সড়কের উপরে একটি নির্মীয়মান সুড়ঙ্গের মুখ ধসে পড়ে। ভিতরে আটকে যান কমপক্ষে ৪০ জন শ্রমিক। বিপদের মুখে পড়া এসব শ্রমিকদের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু শ্রমিক রয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। 

দুর্ঘটনার পর সোমবার সকাল থেকেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও শ্রমিককে বের করে আনা সম্ভব হয়নি। সুড়ঙ্গের ভিতরে পাইপ দিয়ে পানীয় জল ও অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে।

প্রাথমিকভাবে পাওয়া খবর অনুযায়ী আধিকারিকরা জানান, ওই টানেলের প্রবেশ পথ থেকে প্রায় ২৮০০ মিটার ভিতরে কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। প্রবেশ পথের প্রায় ২০০ মিটার দূরে ধস নামে। 

এই প্রকল্পের কাজের সঙ্গে যুক্ত এক আধিকারিক জানান, ওই শ্রমিকদের কাছে অক্সিজেন সিলিন্ডার আছে। তাও সেই শ্রমিকদের নিরাপত্তা এবং জীবনের কথা চিন্তা করে অতিরিক্ত অক্সিজেন পাঠানো হচ্ছে। 

পাইপে করে অতিরিক্ত অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে সেখানে। আধিকারিকেরা জানান, সব ঋতুতে ব্যবহার করা যাবে, এই রকম সাড়ে চার কিলোমিটার লম্বা ওই টানেল করা হচ্ছে। এই ঘটনায়, এখনো পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে। 

এদিকে, এই ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী । তিনি জানান, এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ-এর দল এবং পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। বর্তমানে উদ্ধার অভিযান চলছে। তিনি বলেন, 'ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছি সবাই যেন সুস্থ ভাবে ফিরে আসেন।' 

সেখানে পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্স রাখা হয়েছে বলেও জানান আধিকারিকেরা। কিন্তু এই ধরণের বিপর্যয় হয়তো বড় কোনো ধ্বংসের ভূমিকা। আর সেগুলি রোধ করতে হলে তৎপর হতে হবে আমাদেরকেই। ভিনরাজ্যে বিপদগ্রস্ত বাংলার শ্রমিকদের পরিবারেরাও উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন।





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন