সমকালীন প্রতিবেদন : রবিবার আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ফের দেখা যাবে নীল জনজোয়ার। বিশ্বকাপ ফাইনালে টিম ইন্ডিয়াকে সাপোর্ট করতে ১ লাখ দর্শকের মধ্যে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী মোদিও। তাঁরা সকলেই চাইছেন বদলা। কারণ, ২০০৩ থেকে ২০২৩- মাঝখানে ২০ বছর কেটে গিয়েছে।
পুরো ৭৫৪৬ দিন পর ফের একবার বিশ্বকাপের ফাইনালের লড়াইয়ে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দুই দিগগজ। আর এই মহারণ দেখার অপেক্ষায় বসে রয়েছে ক্রিকেট দুনিয়া। রবিবার আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে টস করতে নামবেন রোহিত শর্মা এবং প্যাট কামিন্স।
ঠিক যেভাবে ২০০৩ সালের ২৩ মার্চ জোহানেসবার্গের বাইশ গজে টস করতে গিয়েছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং রিকি পন্টিং। তবে সেবার শেষ পর্যন্ত বিপজ্জনক অস্ট্রেলিয়ার কাছে ফাইনালে ১২৫ রানে হেরে যায় ‘মেন ইন ব্লু’। রোহিতের টিম ইন্ডিয়া কি সেই হারের জ্বালা সুদে-আসলে তুলে নেবে এবছর? অপেক্ষার প্রহর গুনতে শুরু করেছে আসমুদ্রহিমাচল।
উল্লেখ্য, এর আগে ওডিআই ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া মোট ১২ বার একে অপরের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছে। এরমধ্যে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল ৮ ম্যাচে জয়লাভ করেছে। বিশ্বকাপে চারবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হেরে গিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট দল।
১৯৮৩, ১৯৮৭, ২০১১ এবং ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ ম্যাচে ভারতকে হারিয়েছে অজিরা। তবে রোহিত শর্মার দল এই টুর্নামেন্টে ইতিপূর্বে একবার অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দিয়েছে। ফাইনাল ম্যাচেও যে তারা সেই জয়ের মোমেন্টাম বজায় রাখবে, তা বলা যেতেই পারে।
দলগত শক্তির বিচারেও কাছাকাছি দু’দল। দু’দেশের গত কয়েকটি বিভিন্ন ফরম্যাটের সিরিজেও দেখা গিয়েছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। যদিও অস্ট্রেলিয়ার মাটিতেও দুবার টেস্ট সিরিজ জিতেছে ভারত।
বিরাট কোহলি, শুভমান গিলদের ব্যাট কিংবা জশপ্রীত বুমরাহ-মহম্মদ শামিদের বোলিংয়ের দাপটের জন্য এবার ভালো কিছুর আশা করতেই পারেন ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা। হয়তো তেমনটাই হবে রবিবার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন