সমকালীন প্রতিবেদন : রেস্তোরাঁ হোক বা রাস্তার ধারের কোনও সাধারণ দোকান, বাড়িতে জন্মদিনের পার্টি হোক বা বিয়েবাড়ি, আজকাল একসঙ্গে মিলে খাওয়াদাওয়া মানে, প্রথমেই যে খাবারের নাম উঠে আসে তা হল বিরিয়ানি। মাটন হোক বা চিকেন, আলু আর ডিম দিয়ে বিরিয়ানি হলেই হল।
এর মধ্যে কিছু কিছু জনপ্রিয় বিরিয়ানি বিক্রেতা রয়েছেন, যাঁদের বিরিয়ানি স্বাদে ও গন্ধে অতুলনীয়। তবে অনেকের আবার তা বাজেটে আসে না। কারণ, একটু নামী দোকানের বিরিয়ানির জন্য বেশি টাকা খরচ করতে হয়।
তাই সাধারণের চাহিদা পূরণের জন্য আজকাল অলিতে গলিতে বা রাস্তায় মোড়ে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে বিরিয়ানির দোকান। কিন্তু সেই সমস্ত দোকানে যে বিরিয়ানি বিক্রি হচ্ছে, তা কি স্বাস্থ্যসম্মত? এবার সেটাই ঘুরে দেখল খাদ্য সুরক্ষা দফতর।
যেহেতু উৎসবের মরশুম চলছে, তাই আগামীদিনেও এইসব সস্তার বিরিয়ানির দোকানগুলি থেকে ব্যাপক পরিমাণে বিক্রি হবে বিরিয়ানি। এবার তাই মানুষের জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্য নিশ্চিত করতে পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখাকে সঙ্গে নিয়ে বাঁকুড়ার এই সমস্ত বিরিয়ানির দোকানে অভিযান চালালেন জেলা খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকরা।
শহরের একাধিক এলাকার দোকানে আচমকাই অভিযান চালান তাঁরা। সেখান থেকে বেশ কিছু বিনা লেবেলের রং ও সুগন্ধি বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু এইসব রং কেন শরীরের জন্য ক্ষতিকর? এই বিষয়ে এক ফুড সেফটি অফিসার বলেন যে, এখন খুব বেশি জনপ্রিয় খাবার হচ্ছে বিরিয়ানি।
আর এর ঝুঁকিপূর্ণ দিক হল, অস্বীকৃত রং ও ফ্লেভার ব্যবহার। তাই সেসবের ব্যবহার কমিয়ে আনতে এই অভিযানগুলি চালানো হচ্ছে এবং মানুষজনকে সচেতন করা হচ্ছে। এর সঙ্গে হাইজিনের দিকটিও মাথায় রাখা হচ্ছে।
তবে শুধু এভাবে নয়, সঠিক গুণমানের খাবার খেতে হলে সবার আগে সচেতন হতে হবে আমাকে ও আপনাকে। খাবার কেনার আগে তার গুণমান যাচাই করতে হবে দোকানেই। ভিড়ে তেমনটা সম্ভব না হলে ফাঁকা সময়ে গিয়ে খাবার আনতে হবে। তাহলেই বজায় থাকবে সুস্থতার মাপকাঠি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন