সমকালীন প্রতিবেদন : অস্কার পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীত শিল্পী এ.আর রহমানের ভেরিফায়েড ইউটিউব চ্যানেলে দু'দিন আগে আপলোড করা হয়েছে একটি গান। জনপ্রিয়তার নিরিখে সেই গানের ভিউ খুব একটা বেশি না হলেও সেই গান নিয়েই আপাতত তোলপাড় বাংলা।
কবি কাজী নজরুল ইসলামের 'কারার ওই লোহ কপাট'কে যেভাবে নিজের আঙ্গিকে গড়ে-পিঠে নিয়েছেন রহমান, তা শুনে ক্ষুব্ধ বাংলার জনগণ। চলছে চরম সমালোচনা। এমনকি এই গান শুনে ক্ষুব্ধ কাজী নজরুল ইসলামের গ্রাম চুরুলিয়ার বাসিন্দারা। সেখানেও চলছে চরম সমালোচনা।
গানটি প্রত্যাহার না করলে আইনী পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চুরুলিয়ার কাজী পরিবার এবং নজরুল অ্যাকাডেমি। কাজী পরিবারের দাবি, আজ থেকে প্রায় ১০০ বছর আগে লেখা যে গান শুনলে আজও গায়ে কাঁটা দেয় আপামর বাঙালির, যে গানে জীবন্ত হয়ে ওঠে স্বাধীনতা সংগ্রামের দিনগুলি, সেই গানের সুরটাই বদলে দিয়েছেন এ আর রহমান।
কবির ভাইপো কাজী রেজাউল করিম বলেন, 'এই ঘটনা দুঃখজনক। আগুন নিয়ে খেলা করছেন রহমান সাহেব।' এই প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে সামাজিক মাধ্যমেও। নেটপাড়ার ক্ষোভের মুখে পড়লেন জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিচালক এ আর রহমান।
নেটিজেনদের অভিযোগ, গানটিকে বিকৃত করেছেন রহমান। এই গান বাঙালিরা যেভাবে শুনতে অভ্যস্ত, তাকে নষ্ট করেছেন রহমান। একই কথা বলেছেন ভারত এবং বাংলাদেশের একাধীক শিল্পীও। ভারতীয় তথা বাঙালি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীও গোটা ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ।
ঘটনায় ক্ষুব্ধ গায়ক রাঘব চট্টোপাধ্যায়ও। এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন লেখিকা তসলিমা নাসরিনও। তসলিমার মতে, ‘তামিল ছেলে’ এ.আর রহমান হয়তো জানেনই না, কাজী নজরুল ইসলাম কে ছিলেন।
তবে এখানে একটি বিষয় স্পষ্ট যে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল বাঙালির রক্তে ও মনেপ্রাণে মিশে রয়েছেন। তাই এই অনুভূতিতে আঘাত হলে যে তার প্রভাব এমন মারাত্মক হবে, তা সব কম্পোজারদের বুঝে গান রিমেক করা উচিত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন