সমকালীন প্রতিবেদন : বারুদের গন্ধে ভরে গেছে মধ্যপ্রাচ্যের বাতাস। কখন কী হয়! আতঙ্ক সবার মনে। ইজরায়েল ও প্যালেস্টাইনের যুদ্ধ নিয়ে এখন উদ্বেগে গোটা বিশ্ব। এই পরিস্থিতিতে গাজা ভূখণ্ডে অভিযান শুরু করেছে ইজরেয়েলি সেনাবাহিনী। বহু পণবন্দির দেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলেও খবর।
এদিকে, এই যুদ্ধ নিয়ে ক্রমেই বাড়ছে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা। তাই হয়তো এই যুদ্ধের আগুন যাতে আরব দুনিয়ায় ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্যই চেষ্টা করছে আমেরিকা। কিন্তু তাতেও কি থেমে রয়েছে সবটা! হয়তো না। কারণ, ইতিমধ্যে অনেক দেশ এই যুদ্ধ নিয়ে হস্তক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
ইরানের মদতপুষ্ট লেবানন দেশের হিজবুল্লাহ বাহিনী হুঁশিয়ারি দিয়েছিল ইজরায়েলকে। একটি বিবৃতি জারি করে লেবাননের ওই জঙ্গিগোষ্ঠীর এক মুখপাত্র বলেছিল, 'প্যালেস্টাইনকে ইউক্রেন ভাবলে ভুল করবে অন্যেরা। বাইরের কোনও শক্তি ইজরায়েল এবং হামাসের সংঘাতে হস্তক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নিলে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
তারপরেই লেবানন সীমান্তবর্তী ইজরায়েলি শহর বেইট শিয়ান, সাফেদ এবং টাইবেরিয়াসের উপর এয়ার স্ট্রাইক চালানো হয়েছে। প্রাথমিক অনুমান, লেবাবনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ড্রোন হানা চালিয়েছে ইজরায়েল ভূখণ্ডে।
উল্লেখ্য, পশ্চিম এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ এবং শক্তিশালী হিজবুল্লাহ বাহিনীতে রয়েছে লক্ষাধিক যোদ্ধা। অতীতে বেশ কয়েক বার ইজরায়েলের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ লড়াই চালিয়েছে তারা। তাই এবারেও তাদের চোখ রাঙানি চিন্তায় ফেলছে গোটা বিশ্বকে।
কারণ, হিজবুল্লাহ সরাসরি এই যুদ্ধে অংশগ্রহণ করলে হয়তো আমেরিকাও হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না। ইতিমধ্যে হামাস ও হিজবুল্লাহকে হুমকি দিয়ে আমেরিকা বলেছে, জঙ্গি সংগঠন এই দ্বন্দ্বে নাক গলালে, তাদের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর প্রতিশোধ নেওয়া হবে।
এর মধ্যেই আমেরিকা থেকে অস্ত্র এসে পৌঁছে গেছে ইজরায়েলে। ইউরোপের বেশিরভাগ দেশও ইজরায়েলের পক্ষই নিয়েছে। তবে শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপ এবং তাদের মিত্র শক্তিগুলিই নয়, মধ্যপ্রাচ্যের এই দ্বন্দ্বে অংশ নিতে পারে রাশিয়া-তুরস্কের মতো আরও বেশ কয়েকটি দেশও।
এদিকে, আইএস জঙ্গিদের মোকাবিলা করার দিন থেকে সিরিয়া, ইরান, তুরস্কের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করার অভিজ্ঞতা রয়েছে রাশিয়ার। মধ্যপ্রাচ্যে তাদের এক গোষ্ঠী হিসেবেই ধরা হয়। মধ্যপ্রাচ্যের সমস্যায় আমেরিকা হস্তক্ষেপ করলে, পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে ইতিমধ্যেই হুমকি দিয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন।
তবে এই যুদ্ধ হয়তো একদিন থেমে যাবে। কারণ, ইতিমধ্যে এই যুদ্ধ শেষের আর্জি সামনে এনেছে ইরান ও সৌদি আরবের মতো আরব দেশ। তাই ইজরায়েল ও প্যালেস্টাইনে চলা এই সংঘাত বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক এবং স্থানীয় সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলছে তারা।
এর পাশাপাশি, নিরীহ মানুষদের উপর হামলার তারা নিন্দা করছে বলে জানিয়েছে সৌদি আরব। তাই আশা করা যায় যে, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হয়তো এক্ষুনি শুরু হবে না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন