Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শনিবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৩

অষ্টমী ও নবমীর দিনেই স্থলভাগে প্রভাব দেখাতে পারে বৃষ্টিপাত

 

Rainfall-can-show-the-effect

সমকালীন প্রতিবেদন : রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে পুজোর গন্ধ। ষষ্ঠীর সকাল থেকেই মেঘমুক্ত আকাশ দেখে আনন্দের জোয়ারে ভাসছে আপামর বাঙালি। কিন্ত এই আনন্দমুখর দিনে বাঙালির চিন্তা বাড়াচ্ছে নিম্নচাপ। কারণ, ইতিমধ্যে বঙ্গোপসাগরে শক্তি বাড়াচ্ছে একটি নিম্নচাপ। অষ্টমীতে তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে বলে আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা। 

তবে নিম্নচাপের যা গতিবিধি, তাতে বাংলায় দুর্যোগের আশঙ্কা নেই। নিম্নচাপের প্রভাবে সমুদ্রেই বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে পুজোর শেষ দুদিন, অর্থাৎ নবমী ও দশমীতে বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গে। 

কলকাতা সহ ৬ জেলায় খুব হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে এই দুদিন। ফলে রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমতে পারে। তবে এই সময় বাকি রাজ্য শুকনো থাকার সম্ভাবনাই বেশি। 

আবহবিদরা বলছেন, নিম্নচাপ প্রথমে অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলের দিকে এগোবে, পরে বাঁক নিয়ে মায়ানমার-বাংলাদেশ উপকূলের দিকে এগোবে। ফলে অনেকটা সময় সমুদ্রেই কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা। তাই নিম্নচাপের প্রভাব বাংলায় সেভাবে পড়তে পড়তে পুজোর পাট চুকে যেতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। 

তবে আরব সাগরে রয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা। তারও প্রভাব দেশের কোথাও পড়ার সম্ভাবনা কম। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় যেতে পারে ওমান-ইয়েমেনের দিকে। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি পুজোয় উত্তরবঙ্গেরও আকাশ পরিষ্কার থাকবে বলে জানা যাচ্ছে। 

পুজোর চারটে দিন উত্তরবঙ্গের সিংহভাগ জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে আগামী কয়েকদিন অল্প বিস্তর বৃষ্টি হতে পারে। এদিকে, আরব সাগরে ফুঁসছে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণাবর্ত। এটি ক্রমশ জোরালো হয়ে সাইক্লোনে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। 

আগামী ২২ থেকে ২৩ অক্টোবরের মধ্যে যা আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়া নিয়ে এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু বলতে পারছেন না। আগামী ২১ অক্টোবর নাগাদ এই ঘূর্ণাঝড়টি শক্তিশালী আকার ধারণ করবে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। 

আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই ঘূর্ণাবর্ত পশ্চিম এবং উত্তর পশ্চিমদিকে অগ্রসর হবে। তারপর থেকেই নিম্নচাপের প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস। তবে আমাদের রাজ্যে তার কোনো প্রভাব পড়বে না। তাই এখন মেঘমুক্ত আকাশের নীচে পুজো কাটানো যাবে আনন্দের সঙ্গেই। 






কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন