সমকালীন প্রতিবেদন : দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও কমছে না যুদ্ধের আঁচ। বৃহস্পতিবার রাতভর গাজা স্ট্রিপে হামলা চালাল ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী। সূত্রের খবর, মধ্য রাতে গাজা স্ট্রিপ লক্ষ্য করে শতাধিক মিসাইল ছোড়ে ইজরায়েল সেনা।
হামাসের বায়ুসেনার ঘাঁটিতেও এয়ারস্ট্রাইক চালানো হয় রাতের অন্ধকারে। তবে শুধু গাজা নয়, লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লার ঘাঁটিতেও হামলা চালানো হয়েছে বলে খবর। কিন্তু এটা তো দেখলেন যুদ্ধের ছবি, এবার সেই যুদ্ধের ভয়াবহতা তুলে ধরবো আপনাদের সামনে।
যুদ্ধ জারি থাকলেও এখনও ত্রাণের দেখা নেই গাজা ভূখণ্ডে। এই বিষয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের উদ্বাস্তু সংক্রান্ত সংগঠনের হাই কমিশনার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন যে, এমন পরিস্থিতিতে সামরিক হামলার তীব্রতা বাড়লে স্রেফ 'ধ্বংস' হয়ে যাবে গাজা।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, 'গাজায় প্রত্যেকে, এমনকি মেডিক্যাল টিমও বিধ্বস্ত। প্রত্যেকে জলশূন্যতা, খিদের জ্বালায় কাতরাচ্ছেন...সত্যিই জীবন-মরণ পরিস্থিতি।' পরে খবর আসে, ছোট্ট ভূখণ্ডের অন্তত ৭টি হাসপাতালের কাজকর্ম সম্পূর্ণ স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। একই পরিস্থিতি ২১টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের।
এদিকে, ইজরায়েল যেভাবে গাজা অবরোধ করে রেখেছে, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বাড়ছে। এমনকি মিশর-সহ পশ্চিম এশিয়ার আরও দেশে এই প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা স্পষ্ট। এসবের মধ্যে, গাজার ত্রাণের জন্য একমাত্র ভরসা, রাফাহ ক্রসিং নিয়েও চিন্তার মেঘ জমছে।
এদিন এই ক্রসিং দিয়েই মিশরে ত্রাণ প্রবেশের কথা ছিল। কিন্তু সম্ভবত, এই ত্রাণ পৌঁছতে আরও একটা দিন অপেক্ষা করতে হবে। অর্থাৎ যন্ত্রণা সামান্য কমতে নিদেনপক্ষে আরও একটি দিন অপেক্ষা করতে হবে গাজার বাসিন্দাদের।
কিন্তু কবে থামবে এই যুদ্ধ? এই উত্তর নেই কারও কাছেই। কোনও দেশ যুদ্ধ থামানোর জন্য এগিয়েই আসেনি সেভাবে। হুমকি, হুঁশিয়ারির মাঝেই একটু একটু করে ধ্বংসের পথে এগিয়ে চলেছে এই গাজা ভুখন্ড।
কারণ, মানবাধিকার লঙ্ঘন না করার বার্তা দিয়েও ইজরায়েলের পাশে থাকার কথা জানিয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন। অন্যদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান সতর্ক করে বলেছেন, গাজায় ত্রাণে দেরি মানে আরও বহু মানুষের ভোগান্তি। এই লড়াইয়ের শেষ কোথায়? হয়তো উত্তরটা এখনও অমিল।

.jpeg)





.jpeg)





কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন