সমকালীন প্রতিবেদন : সময় যত এগোচ্ছে, ততই জটিল হচ্ছে যুদ্ধ পরিস্থিতি। ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইনের দুই গোষ্ঠীর মধ্যেকার যুদ্ধ ২৩ দিন পার করল। হামাসের আক্রমণের পাল্টা জবাব দিতে গাজায় লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে ইজরায়েলের সেনা।
হামাসের বিরুদ্ধে ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স যে ‘দ্বিতীয় দফার’ যুদ্ধ শুরু করেছে তা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এপ্রসঙ্গে তাঁর বার্তা, "শত্রু হামাসকে ‘মাটির উপর এবং মাটির নীচ’ থেকে চিরতরে বিনাশ করতে এই হামলা চালানো হচ্ছে।"
স্থলপথে হামলা শুরু করতেই গাজাবাসীর জন্য সতর্কবার্তা দিয়েছে ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স। এই অবস্থায় গাজার উত্তরাংশ এখন যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। আগামী কয়েক দিনে গাজার বড় অংশের পরিণতি একই হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সময়ের সঙ্গে বাড়ছে স্থলপথে হামলার ঝাঁঝও। ফলে আগামী দিনে প্রাণহানি আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা গাজা ভূখণ্ডের বাসিন্দাদের। যদিও ইজরায়েলের মনোভাবের জেরে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে বলে মত একাংশের।
যুদ্ধ পরিস্থিতির মাঝেই এবার মিশরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দুই রাষ্ট্রনেতা পশ্চিম এশিয়ায় ক্রমাগত খারাপ থেকে খারাপতর হয়ে চলা সুরক্ষা অবস্থা ও মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসবাদ, হিংসা ও নিরাপরাধ নাগরিকদের মৃত্যু নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী ও মিশরের প্রেসিডেন্ট।
যদিও আন্তর্জাতিক সব হুঁশিয়ারিতে কর্ণপাত করতে নারাজ ইজরায়েল। তাই এবার জাতিসঙ্ঘের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে মুখের ওপর না করে দিল ইজরায়েল। দেশের বিদেশমন্ত্রকের পক্ষ থেকে এলি কোহেন এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। তাদের দাবি, ইজরায়েল ফিলিস্তিনি জঙ্গিদের বিশ্ব থেকে মুছে ফেলতে চায়, যেমনভাবে নাৎসী এবং আইসিসকে খতম করা হয়েছিল।
এই লড়াইকে ইজরায়েলের ‘অস্তিত্বের সংগ্রাম’ বলে বর্ণনা করতে দেখা যায় ইহুদি নেতাকে। সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, গাজা ভূখণ্ডে যে অভিযান চালানো হচ্ছে, তা ‘দীর্ঘ ও কঠিন’ হতে চলেছে। তাই একথা নিশ্চিত যে এখনই যুদ্ধ থামাতে রাজি নয় ইজরায়েল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন