Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

ক্লাবের অনুদান বন্ধ করে রাজ্য সরকারের অনেকটা অপব্যয় বাঁচতে চলেছে

 ‌

Club-donations-are-off

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌কোনটা প্রকৃত ব্যয় ও কোনটা অপব্যয় তা অবশ্য আপেক্ষিক। তবে এমনিতেই শাসনভার নেওয়ার পরে মমতা ব্যানার্জী সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী দল এবং সাধারণ মানুষের একাংশের  অভিযোগ, মেলায়-খেলায় সরকার অনেক টাকা আপব্যয় করছে। এবার সেই ব্যয়ে রাস টানতে চাইছে সরকার। 


নবান্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, পরিকাঠামো উন্নয়নের নামে সারা বাংলা জুড়ে অজস্র ক্লাব সংগঠনকে মমতা সরকার এতদিন যে টাকা দিয়ে আসছিল, এবার তা বন্ধ হতে চলেছে। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পরের বছর মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী ক্লাবগুলির পরিকাঠামোর উন্নতির জন্য আর্থিক অনুদান ঘোষণা করেন। 


বাছাই করা ক্লাবগুলি প্রথম বছরে এককালীন ২ লাখ টাকা এবং পরবর্তী ৩ বছর ১ লাখ করে মোট পাঁচ লাখ টাকা পেত। যদিও কোভিড পর্বে, ২০২০ সাল থেকে এই প্রকল্পে অর্থ দেওয়ার কাজ স্থগিত রাখা হয়। সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, এই অনুদান আর দেওয়া হবে না। কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত?


প্রথম থেকেই অভিযোগ, নিতান্তই ভোটার কেনা এবং ক্লাবগুলোকে ভোটের কাজে লাগানোই ছিল এর প্রধান উদ্দেশ্য। কিন্তু সরকার চেয়েছিল ক্লাবগুলির সামগ্রিক উন্নয়ন। তাই প্রথম বছর ৭৮১টি ক্লাব এই অনুদান পেয়েছিল। সেই খাতে ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল রাজ্য সরকার। 


পরের বছর ১৫০০ ক্লাবকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যার জন্য রাজ্য সরকারকে অতিরিক্ত ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ করতে হয়েছিল। সব ঠিক মতো চললেও প্রায় ১০ বছর পরে হঠাৎ সরকারের নজরে এসেছে ক্লাবগুলো তো হিসাব পেশ করে নি!! তাই আর অনুদান নয়। 


অন্তত নবান্নের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, রাজ্য সরকার শর্ত দিয়েছিল, যে সব ক্লাব সংগঠন এই অর্থ নিচ্ছে, তাদের খরচের হিসাব (ইউটিলাইজ়েশন সার্টিফিকেট) জমা দিতে হবে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্লাবই সেই হিসাব জমা দিতে পারেনি। তাই তা বন্ধ করা হলো।


স্বাভাবিক কারণেই প্রশ্ন উঠেছে, এটাই কী প্রকৃত কারণ? নাকি সরকারের 'ভাঁড়ে মা ভাবনী'। তা ছাড়াও গতকালই আদালতের বিচারপতি অমৃতা সিংহ এর একটা পর্যবেক্ষণ সামনে আসে। একটি দুর্গাপুজো কমিটিকে অনুমোদন দেওয়া নিয়ে সওয়াল জবাবের মাঝে বিচারপতি অমৃতা সিংকে বলতে শোনা যায়, 'আমি অনেক মামলা শুনেছি, যেখানে মানুষ বেতন পাচ্ছেন না, চাকরি পাচ্ছেন না, পেনশন পাচ্ছেন না। আর পুজো কমিটিকে টাকা দেওয়া হচ্ছে!'‌ 


তবে নবান্ন স্পষ্ট করেই বলেছে, এই সিদ্ধান্ত কয়েকদিন আগেই নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে বিচারপতির মন্তব্যের কোনও সম্পর্ক নেই। তা ছাড়াও বিচারপতির মন্তব্য ছিল পুজো কমিটিকে অনুদান দেওয়া নিয়ে। সেই অনুদান কিন্তু বন্ধ হয় নি। বরং আরও অনেকটাই বেড়েছে।‌

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন