সমকালীন প্রতিবেদন : আন্দোলনের ফল পেলেন বনগাঁর চিরুনি শ্রমিকেরা। অবশেষে মজুরি বৃদ্ধি হল আন্দোলনরত শ্রমিকদের। বিভিন্ন ধরনের চিরুনি শ্রমিকদের আলাদা আলাদা হারে মজুরি বৃদ্ধি হয়েছে। বিজয় মিছিলের মাধ্যমে বুধবার নিজেদের এই জয়কে পালন করলেন শ্রমিকেরা।
মজুরি বৃদ্ধি সংক্রান্ত চিরুনি কারখানার মালিক এবং শ্রমিকদের মধ্যেকার পুরনো চুক্তিপত্রের মেয়াদ শেষ হয় এবছরের ১৫ মার্চ। কিন্তু সেই সময়কাল পেরিয়ে যাওয়ার পরেও মালিক পক্ষ নতুন করে মজুরি বৃদ্ধি করার বিষয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছিল না, এমনই অভিযোগ বনগাঁ সেলুলয়েড ওয়াকার্স ইউনিয়নের।
শ্রমিকদের অভিযোগ, বাজার খারাপের কথা বলে মালিকপক্ষ মজুরি বৃদ্ধির বিষয়ে নতুন চুক্তি করতে বিলম্ব করছিল। এই পরিস্থিতিতে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনে নামেন শ্রমিকেরা। চিরুনি কারখানার মালিকদের বাড়ির সামনে সারারাত অবস্থান বিক্ষোভও করেন শ্রমিকেরা।
অবশেষে এই আন্দোলনের ফল পেলেন শ্রমিকেরা। শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির বিষয়ে আগ্রহী হল মালিক পক্ষ। আর সেই অনুযায়ী ২৩ জুলাই মালিক পক্ষ এবং শ্রমিক পক্ষের মধ্যে নতুন করে চুক্তিপত্র সাক্ষরিত হয়। সেখানে বিভিন্ন ধরনের চিরুনি শ্রমিকদের মাসে ৬০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত মজুরি বৃদ্ধি হয়েছে।
২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নতুন এই চুক্তি অনুযায়ী চিরুনি শ্রমিকেরা তাদের মজুরি পাবেন বলে বনগাঁ সেলুলয়েড ওয়াকার্স ইউনিয়নের সম্পাদক রঞ্জন সেন জানিয়েছেন। ওয়েষ্ট বেঙ্গল সেলুলয়েড কম্ব ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক তমাল দত্ত জানালেন, দুপক্ষের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে নতুন এই মজুরি তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বনগাঁয় এই মুহূর্তে ছোট, বড় মিলিয়ে ১২৫ টি চিরুনি কারখানা রয়েছে। সেখানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন প্রায় ৬০০ জন। একসময় যে যশোরের চিরুনি বিখ্যাত ছিল, এখন সেই বাজার আর নেই। ফলে বনগাঁর একমাত্র এই শিল্প আজ অনেকটাইহারিয়ে যাওয়ার পথে। স্বাভাবিকভাবেই অসহায় অবস্থা চিরুনি মালিকদেরও।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন