সমকালীন প্রতিবেদন : রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা। বাদ নেই বনগাঁও। শনিবার রাতে ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার হলেন এক বিজেপি প্রার্থী। ওই বিজেপি প্রার্থীর বাড়ি ভাঙচুর এবং প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠলো তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত দলীয় কর্মীর বাড়িতে গেল বিজেপি নেতৃত্ব।
ভোটের দিন সকাল থেকেই বনগাঁ ব্লকের অম্বরপুর কলোনি এফপি স্কুলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলছিলেন গঙ্গানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৮১ নম্বর বুথের গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরের বিজেপি প্রার্থী বিধান ঢালী। অভিযোগ, সেই সময় প্রতিবাদ করায় বুথের সামনেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাকে মারধর করে।
এরপর ভোট মিটে গেলে রাতে তার বাড়িতে চড়াও হয় বেশ কিছু দুষ্কৃতী। বাড়ির জানালার কাঁচ ইট মেরে ভেঙে দেওয়া হয়। ঘটনার সময় বিধান ঢালী বাড়িতে না থাকায় তিনি প্রাণে বেঁচে গেছেন বলে দাবি বিজেপির। এই ঘটনার পেছনে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা জড়িত বলে অভিযোগ বিজেপি নেতৃত্বের।
আরও অভিযোগ, বিধানকে না পেয়ে ফিরে যাওয়ার সময় দুষ্কৃতীরা বিধানকে পরিবারের সদস্যদের সামনে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। রবিবার সকালে আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থী বিধান ঢালীর বাড়িতে যান বনগাঁ উত্তরের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া এবং বিজেপির জেলা সভাপতি রামপদ দাস।
বিধায়কের অভিযোগ, ভোটের দিন রাজ্য জুড়ে তৃণমূল সন্ত্রাস চালিয়েছে। একইভাবে ভোটের দিন সকাল থেকেই বনগাঁর এই বুথে পুলিশের মদতে ছাপ্পা ভোট চালিয়েছে। রাতে বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতেও চড়া হয় তারা। আগামী দিনে এমন হামলার ঘটনা ঘটলে তার জন্য দায়ী থাকবে পুলিশ।
আক্রান্ত বিধান ঢালির বক্তব্য, রাতে হামলা হতে পারে, সেই আশঙ্কা করেই তিনি রাতে নিজের বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছিলেন। আর তাই তিনি প্রাণে বেঁচে গেছেন। আগামীদিনে যাতে তিনি এইভাবেই গণতন্ত্র রক্ষা করতে পারেন, তার আবেদন জানান।
: এই খবরের ভিডিও প্রতিবেদন দেখতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন :
যদিও এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের দাবি, ভোটের পরে বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে তো আর তৃণমূলের ভোট বাড়বে না। ফলে তৃণমূল কেন হামলা চালাতে যাবে। বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
সবে ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হয়েছে। এখনও গণনা বাকি। ফলে আগামী দিনে রাজনৈতিক হিংসা কতটা হবে, কতজন হিংসার শিকার হবেন, সেটা ভেবেই আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ। এব্যাপারে প্রশাসনকে আরও বেশি সজাগ এবং রাজনৈতিক দলগুলিকে একটু সংযমী হওয়ার আবেদন জানাচ্ছে নাগরিক মহল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন