Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বুধবার, ১৪ জুন, ২০২৩

২০০ বিঘা চাষের জমি নদী গর্ভে, ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের ভোট বয়কটের ডাক

 ‌

Call-for-vote-boycott

সমকালীন প্রতিবেদন : বিঘার পর বিঘা চাষের জমি চলে গেছে ‌নদীগর্ভে। সমস্যার সমাধানে একাধিকবার প্রশাসনের বিভিন্ন দরজায় কড়া নেড়েও কোনও লাভ হয়নি। আর এই কারনেই প্রশাসনের ওপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন বয়কটের ডাক দিলেন ধূপগুড়ি ব্লকের গাদং ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজীপাড়া এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ বাসিন্দারা। 

কাজীপাড়া এলাকার এক পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ডুডুয়া নদী। এই নদীর পাশ দিয়ে রয়েছে চাষের জমি। প্রতিবছর একটু একটু করে সেই সমস্ত চাষের জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ধূপগুড়ি ব্লকের বেশিরভাগ মানুষ মূলত কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত। কাজেই চাষের জমি এইভাবে নদীর গ্রাসে চলে যাওয়ায় অসহায় হয়ে পড়েছেন গ্রামবাসীরা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ২০১৮ সাল থেকে এই নিয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে তারা অভিযোগ জানিয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাদের আরও অভিযোগ, নদীর উল্টো দিকে অপরিকল্পিতভাবে একটি বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। যার জেরে নদী গতিপথ পরিবর্তন করে ক্রমশ চাষের জমির দিকে এগিয়ে আসছে। 

পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে, এই বর্ষার পর নদীর এপারে আর কোনও চাষের জমি অবশিষ্ট থাকবে না বলে আশঙ্কাপ্রকাশ করছেন গ্রামবাসীরা। ক্ষোভের সঙ্গে স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানালেন, যখনই কোন নির্বাচন আসে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, মন্ত্রীরা শুধুমাত্র আশ্বাস দেন বাঁধ নির্মাণ করার। এমনকি এলাকা পরিদর্শন পর্যন্ত করেন। 

তবে ভোট মিটে গেলে যে কে সেই অবস্থা। দূর্দশা মেটে গ্রামবাসীদের। পরিস্থিতি এতোটাই কঠিন হয়ে পরেছে যে, অনেক কৃষকের আর কোনও চাষের জমি অবশিষ্ট নেই। সম্পূর্ণটাই চলে গেছে ডুডুয়া নদীর গর্ভে। কার্যত তাদের পথে বসার মতো অবস্থা হয়েছে। আর এই কারণেই এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। 

স্থানীয় গ্রামবাসীদের এই শোচনীয় অবস্থার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নির্মল চন্দ্র রায়। তিনি জানিয়েছেন, ওখানকার অবস্থা সত্যিই ভয়াবহ। তিনি তার সাধ্যমত চেষ্টা করেছেন। 

যেহেতু গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষে এতো বড় বাঁধ নির্মাণ করা সম্ভব নয়, সেই কারণে তিনি উপর মহলে বিষয়টি জানিয়েছেন। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আশাবাদী, খুব দ্রুত এই নদীর বাঁধ নির্মাণ করা হবে।

তবে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে কবে নির্মাণ করা হবে এই নদী বাঁধ। ততদিন পর্যন্ত যেটুকু চাষের জমি পড়ে রয়েছে, সেটা থাকবে। না কি ডুডুয়া নদীর জলের স্রোতের সঙ্গে ভেসে যাবে অবশিষ্ট অংশটুকুও। অজানা আশঙ্কায় দিন কাটছে ওই এলাকার কৃষকদের।‌



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন