Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

১৯১১ জন অবৈধ চতুর্থশ্রেণীর কর্মীর নাম প্রকাশ এসএসসির

Illegal-group-D-workers

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে যে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী নিয়োগ হয়েছে, তারমধ্যে ১৯১১ জনের সুপারিশপত্র বাতিল করলো রাজ্য স্কুল সার্ভিস কমিশন। 

শুক্রবার সরকারিভাবে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই ১৯১১ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করলো কমিশন। এই ১৯১১ জন অবৈধভাবে নিয়োগপত্র পেয়েছে বলে কমিশন তাদের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে।

তৃতীয় রিজিয়নাল লেভেল টেষ্ট (এনটি) এর মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে যে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী নিয়োগ হয়েছে, সেখানে অনেক অনিয়ম হয়েছে– এইমর্মে ২০২১ সালে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়। হাইকোর্ট সেই মামলার তদন্তের ভার দেয় সিবিআইকে।

তদন্তের পর সিবিআই হাইকোর্টে তাদের রিপোর্ট জমা দেয়। আর সেখানে ব্যাপক অনিয়মের কথা উল্লেখ করা হয়। এরপর হাইকোর্ট রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশনকে অনিয়মের মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া কর্মীদের নামের তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দেয়।  

সেই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে এদিন সেই ১৯১১ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করলো এসএসসি। এই তালিকায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি বনগাঁর বেশ কিছু স্কুলে নিয়োগ পাওয়া কর্মীর নাম রয়েছে। 

এরমধ্যে বনগাঁ শহরের বুদ্ধিজীবী মহলে বিশেষ পরিচিত সুশোভন দত্তর নাম ৮২২ নম্বর সিরিয়ালে রয়েছে। তিনি বনগাঁর নরহরিপুর সারদাচরণ বিদ্যাপীঠে গত ৫ বছর ধরে কর্মরত।

এব্যাপারে এদিন সাংবাদিকেরা তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়ম মেনে পরীক্ষা দিয়ে প্যানেলভুক্ত হয়ে চাকরি পেয়েছি। কিন্তু তারপরেও কিভাবে চাকরি বাতিলের তালিকায় নাম উঠেছে জানি না। আদালত আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয় নি। তবে আদালত যা নির্দেশ দেবে, তা মেনে নিতে হবে।'‌ ‌

যদিও সুশোভনের নাম বাতিলের তালিকায় থাকায় কিছুটা অবাক হয়েছেন নরহরিপুর সারদাচরণ বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষিকা সুপর্ণা ঘোষরায়। তাঁর কথায়, সুশোভন যথেষ্ট দায়িত্ববান কর্মী। তবে তিনি এও জানিয়েছেন, অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া অন্যায়। এই ঘটনা তিনি সমর্থন করেন না।

রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রকাশ করা এদিনের বিজ্ঞপির পর তালিকাভুক্ত অবৈধ চতুর্থশ্রেণীর কর্মীদের ভবিষ্যৎ কী হয়, এখন সেদিকেই তাকিয়ে গোটা বাংলা।






কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন