Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বুধবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২৩

স্ত্রীকে খুন করে সারা রাত মৃত স্ত্রীর পাশে স্বামী

 

kill-wife

সমকালীন প্রতিবেদন : স্ত্রীকে খুন করে মৃতদেহের পাশে সারা রাত কাটালেন স্বামী। সকালে খুনের ঘটনার কথা নিজেই প্রতিবেশীকে জানিয়ে ট্রেন ধরে অন্যত্র চলে যাওয়ার সময় খুনী স্বামীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া থানা এলাকায়।

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিবাদ লেগে ছিল হাবড়ার নগরথুবা এলাকার বাসিন্দা কানাই ঘোষ এবং তার স্ত্রী রীনা ঘোষের (‌৫৭)‌ মধ্যে। তাদের এই বিবাদের কথা জানতেন প্রতিবেশীরাও।

অভিযোগ, এর আগে কানাই ঘোষের নামে থাকা বাড়ি জোর করে নিজের নামে করিয়ে নিয়েছেন তার স্ত্রী রীনা। বছর চারেক আগে রীনাদেবী একাই মুম্বাই চলে যান। হাবড়ার বাড়িতে একাই থাকতো কানাই ঘোষ। 

এতোদিন মুম্বাই কাটানোর পর গতকালই হাবড়ায় ফিরে আসেন রীনাদেবী। তার মেয়ের অভিযোগ, তাদের বাবা অত্যন্ত ভালো মানুষ। মায়ের অত্যাচারে বাবার জীবন অতিষ্ট হয়ে গেছে। মা চলে যাওয়ার পর বাবা একা একা ভালোই ছিলেন।

মেয়ের আরও অভিযোগ, বাবার সঙ্গে নতুন করে গোলমাল পাকানোর জন্য পরিকল্পনা করেই তার মা মুম্বাই থেকে হাবড়ায় এসেছিল। উল্লেখ্য, বাড়িতে স্বামীর সঙ্গে গোলমাল হতে পারে, এই মর্মে বাড়িতে ঢোকার আগেই রীনাদেবী হাবড়া থানায় একটি জেনারেল ডায়েরি করে আসেন। 

এদিকে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সন্ধের পর থেকেই কানাই ঘোষ এবং তার স্ত্রী রীনা ঘোষের মধ্যে ব্যাপক গোলমাল বাধে। প্রতিবেশীরা তাদের চিৎকার শুনতে পান। কিন্তু স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে ব্যক্তিগত গোলমালের ঘটনা ঘটায় প্রতিবেশীরা কেউ সেখানে যান নি।

বুধবার সকালে কানাই ঘোষ নিজে এক প্রতিবেশীর বাড়িতে গিয়ে জানায় যে, রাতে স্ত্রীর সঙ্গে গোলমাল বাধলে স্ত্রী রীনা তাকে বাঁশ দিয়ে আঘাত করে। পাল্টা আঘাত করলে মারা যান স্ত্রী রীনা। এই খবর শুনে হতবাক্ হয়ে যান প্রতিবেশীরা।

প্রতিবেশীরাই এরপর হাবড়া থানায় খবর দিলে পুলিশ ওই বাড়ি থেকে রীনাদেবীর মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই বারাসত থেকে ওই বাড়িতে হাজির হন কানাই ঘোষের এক মেয়ে।

স্ত্রীকে নিজে হাতে খুন করে সারা রাত একই ঘরে কাটায় কানাই ঘোষ। সকালে এক প্রতিবেশীকে এই খুনের ঘটনার কথা জানানোর পর নিজে পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে হাবড়া স্টেশনে উপস্থিত হয়ে ট্রেন ধরার জন্য অপেক্ষা করছিল। তারমধ্যেই পুলিশ সেখানে হাজির হয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন