Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

রবিবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০২৩

নিয়ম মেনে নিজেই নিয়ন্ত্রনে রাখুন থাইরয়েডকে

Keep-the-thyroid-under-control

সমকালীন প্রতিবেদন : যত দিন যাচ্ছে থাইরয়েডের সমস্যা ততই বেড়ে চলেছে গোটা পৃথিবীতে। ইতিমধ্যেই ভারতবর্ষে প্রায় ৪ কোটি মানুষ থাইরয়েডের সমস্যায় ভুগছেন। যাদের মধ্যে পুরুষের থেকে মহিলাদের সংখ্যাই বেশি। থাইরয়েড গ্রন্থি আমাদের শরীরের কন্ঠে অবস্থিত হয়। খানিকটা প্রজাপতির আকৃতির হয় এই গ্রন্থী।

থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোনজনিত রোগ পুরুষদের তুলনায় মহিলাদেরই বেশি হয়ে থাকে। এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের সংখ্যা প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। সেই জন্য এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য প্রতিবছর গোটা জানুয়ারি মাসটিকে বিশ্ব থাইরয়েড সচেতনতা মাস হিসেবে পালন করা হয়।

আমাদের প্রত্যেকের শরীরে অবস্থিত থাইরয়েড গ্রন্থি শরীরের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এই গ্রন্থিটি গলায় অবস্থিত হলেও এর আসল কাজ বিকাশ, বৃদ্ধি এবং বিপাক নিয়ন্ত্রণ করার। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, মানুষের শরীরে থাইরয়েড ধরা পড়লে তাদের শরীর এবং গলা ধীরে ধীরে ফুলতে থাকে। ওজনও অনেকটা বৃদ্ধি হয়।

থাইরয়েড হওয়ার নির্দিষ্ট কোনও বয়স নেই। কম বয়সী যুবক-যুবতীদের থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বয়সেও যেকোনও সময় থাইরয়েডের সমস্যা দেখা দিতে পারে। থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে গেলে বা কমে গেলে দুই রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। হাইপো থাইরয়েডিজম ও হাইপার থাইরয়েডিজম।

থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কোনওমতেই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কেবলমাত্র নিজের থেকে কোনও কিছু প্রয়োগ করা যাবে না। 

থাইরয়েডের প্রকার ও তার অবস্থার ওপর নির্ভর করে চিকিৎসক ওষুধের ডোজ দিয়ে থাকেন। এমনকি অনেক সময় ওষুধ ঠিকমতো কাজ না করলে প্রয়োজন অনুসারে চিকিৎসক ডোজ বেশ খানিকটা বাড়িয়ে কিংবা কমিয়েও দেন। 

থাইরয়েড এমন কোনও রোগ নয়, যার কারণে ডায়েট ফলো করতে হবে। তবে এমন কিছু খাবার রয়েছে যা থাইরয়েড হলে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ রাখতে হয়। এমনকি প্রয়োজন পড়লে সেই খাবারগুলি এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।

দুই প্রকারের থাইরয়েডের ভেতরে হাইপো থাইরয়েডিজমের ক্ষেত্রে ফাস্টফুড, রেডিমেড এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার, মিষ্টি, ময়দা কিংবা স্টার্চ না খাওয়াই ভালো। এই ধরনের খাবারগুলি থাইরয়েড এর ক্ষেত্রে শরীরে অত্যন্ত ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে।

হাইপার থাইরয়েডের ক্ষেত্রে আবার অনেক রকম সবজি এবং ফল খাওয়া চলবে না। যেমন আলু, বাঁধাকপি, ফুলকপি, সয়াবিন, পালং শাক, ব্রকলি, চিনাবাদাম, নাশপাতি, স্ট্রবেরির মতো ফল এবং সবজি মনে করে এড়িয়ে চলতে হবে। এই ধরনের খাবার আয়োডিন গ্রহণে বাধা সৃষ্টি করে। যার কারণেও থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণ করা যায় না, বরং তা আরও বেড়ে যায়।

এইরকমই বেশকিছু বিধি-নিষেধ রয়েছে যা একজনের শরীরে থাইরয়েড বাসা বাঁধলে তাকে মেনে চলা উচিত। থাইরয়েড এমন এক ধরনের রোগ, যাকে কিনা সব সময় সম্পূর্ণভাবে নিরাময় করা যায় না। তবে নিজের শরীরের খেয়াল রাখলে, খাওয়া-দাওয়ার উপরে নজর রাখলে এবং সেইসঙ্গে প্রতিনিয়ত সুস্থ থাকার জন্য শরীর চর্চা করতে থাকলে খুব সহজেই থাইরয়েডকে এক প্রকার চ্যালেঞ্জ করে তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন আপনারা।





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন