সমকালীন প্রতিবেদন : শীত ইতিমধ্যেই জাকিয়ে পড়তে শুরু করেছে। আর শীত যত বাড়বে, বাঙালির ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যানও সমান তালে বাড়বে। কম খরচে ঘুরতে যাওয়ার জন্য বাঙালিদের পছন্দের 'দীপুদা' কিন্তু সঙ্গে থাকবেই। অর্থাৎ কিনা দীঘা, পুরী আর দার্জিলিং। আর এই শীতের সবথেকে সুন্দর স্নোফল উপভোগ করতে গেলে দার্জিলিং ছাড়া আর কিছু ভাবাই যায় না।
আপনিও হয়তো ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়লেন দার্জিলিং এর উদ্দেশ্যে, কিন্তু সাবধান! হতে পারে আপনি দার্জিলিং পৌঁছানোর বদলে পৌঁছে গেলেন ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজক দেশ কাতারে। আজ্ঞে না, কোনও কাল্পনিক গল্প নয়।
পর্যটনপ্রিয় অনেক মানুষের পছন্দের শহর হিমালয় পর্বতমালার কোলে গড়ে ওঠা দার্জিলিং এবার সেজে উঠেছে ফুটবল বিশ্বকাপের আদলে। ২০ নভেম্বর থেকে চালু হয়ে গেছে এবারের ফুটবল বিশ্বকাপ। প্রতিবারই যার জন্য অপেক্ষা করে থাকে গোটা পৃথিবী।
আর সেই ফুটবল পাগলামির অনুভূতি থেকে কোনও পর্যটক যাতে বাদ না পরেন, সেই জন্য পর্যটকভরা শৈল শহরকে এভাবেই সাজিয়ে তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এমনকি তাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চারিদিকে বিভিন্ন দেশের পতাকা ও জার্সিতে ভরিয়ে তুলেছে দার্জিলিং পুরসভাও।
এই মুহূর্তে কেউ দার্জিলিং ঘুরতে গেলে শহরে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গেই তার নজরে আসবে চারিদিকে টাঙানো বিভিন্ন দেশের পতাকা। পথ চলতি স্থানীয় বাসিন্দাদের দেখা যাবে বিভিন্ন জার্সিতে। কেউ কেউ আবার মুখে আঁকিয়েছেন বিভিন্ন দেশের পতাকা। কেউ ব্রাজিলের সাপোর্টার, তো কেউ আর্জেন্টিনার।
পশ্চিমবঙ্গবাসীরা যে ফুটবল অন্ত প্রাণ, তা আলাদা করে বলার প্রয়োজন পড়ে না। তার উপর পাহাড়ের মানুষরা এমনিতেই ফুটবলপ্রেমী হন। আর এখন যেখানে ফুটবলের বিশ্বকাপ চলছে, তখন সেখানে ফুটবলের এই বিশাল উৎসবকে হাতছাড়া করতে একদমই নারাজ তারা।
দিল্লি থেকে আগত এক পর্যটক জানান, তারা সপরিবারে দিল্লি থেকে নিজেদের গাড়িতে করে দার্জিলিং এসেছিলেন শুধুমাত্র প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে উপভোগ করতে। কিন্তু এখানে পৌঁছে শহরবাসীদের এই ফুটবলময় আয়োজন দেখে বেজায় খুশি তাঁরা।
বিশ্বকাপ উপভোগ করতে কাতারে যাওয়া হোক বা না হোক, পর্যটকদের খুশি করতে কোনও দিক থেকেই পিছিয়ে নেই দার্জিলিং। বিশ্বকাপের আনন্দ উপভোগ করতে করতে হোটেলের বাইরে পা রাখলেই যেন এক মুহূর্তেই পর্যটকেরা পৌঁছে যাচ্ছেন বিশ্বকাপের আয়োজক দেশে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন