Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২২

‌গাছে অদ্ভুত মুখাবয়ব ঘিরে পুজো দেওয়ার ভিড়

A-strange-face-on-the-tree

সমকালীন প্রতিবেদন : সমাধিস্থলে বেড়ে ওঠা প্রাচীন অশ্বত্থ গাছে আচমকাই মানুষের মুখাবয়ব ফুটে উঠেছে। আর তাকে ঘিরেই উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। গাছকে ঘিরে পুজোপার্বন শুরু হয়ে গেছে। দূরদূরান্ত থেকে মানুষ সেই অদ্ভুত গাছ দেখতে হাজির হচ্ছেন।

পূর্ব বর্ধমানের কালনার নসরতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচলোকি গ্রাম। গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে খোরে নদী। আর এই নদীই গঙ্গা নদীর সঙ্গে মিশে গেছে। একসময় এই দুই নদীর সঙ্গমস্থলের আশপাশ দিয়ে প্রায় আড়াইশো সাধক বাউল পরিবার বসবাস করতো।

যেহেতু এই গ্রামে বাউল পরিবারের বসবাস ছিল, তাই অনেকেই এই পাঁচলকি গ্রামকে বাউলের গ্রাম বলেও ডাকেন। কথিত আছে, যাদবেন্দ্র গোস্বামী নামে এক বাউল সাধক একসময় এই গ্রামেই বসবাস করতেন। এই গ্রামে বসেই তিনি সাধনায় সিদ্ধিলাভ করেন।

সিদ্ধিলাভের পর তিনি যাদবিন্দু গোস্বামী নামে পরিচিতি লাভ করেন। তাঁর প্রয়াণের পর এই গ্রামেই তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়। আর তাঁর সমাধিস্থল থেকেই গজিয়ে ওঠে একটি অশ্বত্থ গাছ। 

দিন তিনেক আগে যাদবিন্দু বাউলের সেই সমাধিস্থল থেকে বেড়ে ওঠা অশ্বত্থ গাছে অবিকল মানুষের একটি মুখমন্ডলের আকৃতি ফুটে উঠতে দেখেন স্থানীয়রা। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন। 

ইতিমধ্যেই সেই গাছকে দেবতাজ্ঞানে পুজো দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। দূরদূরান্ত থেকে মানুষ সেই গাছের মুখাবয়ব দেখতে এই গ্রামে ভিড় জমাচ্ছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মুখাবয়বটি অবিকল যাদবিন্দু বাউলের আদলে ফুটে উঠেছে।

এই ঘটনার খবর পেয়ে গতকালই সমাধিস্থলে আসেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তিনি জানান, ইতিহাস অনুযায়ী এই জায়গাটি খুবই পবিত্রস্থান। সাধক যাদবিন্দু গোস্বামীর সাধনার এই স্থানকে ঘিরে এখানে সম্প্রীতির বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। ফলে এই স্থানটি এখন ইতিহাসপ্রসিদ্ধ।

এক সাধক বাউলের জীবন কাহিনী ঘেরা এই স্থানের নতুন ঘটনাকে ঘিরে মানুষের মধ্যে নতুন করে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। খবর ছড়িয়ে পরতেই ইতিমধ্যে বাইরে থেকে এই গ্রামে বেশ কিছু বাউলের আগমন ঘটেছে। সমাধিস্থলের পাশাপাশি গাছকে ঘিরেও পূজার্চনা শুরু হয়েছে।







কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন