সমকালীন প্রতিবেদন : পুকুরের জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক দম্পতির মৃত্যুর ঘটনায় দম্পতির বাড়িতে গেলেন জেলাশাসক, জেলার পুলিশ সুপার, জনপ্রতিনিধি সহ অন্যান্যরা। অসহায় পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণ বাবদ সরকারি অর্থ সাহায্য এবং মৃত দম্পতির এক ছেলেকে চাকরির ব্যবস্থা করলেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, বুধবার ভোররাতে পশ্চিম মেদিনীপুরের সদর ব্লকের জামকুন্ডা এলাকায় বিশেষ কাজে একটি পুকুরে নামার পর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত হয় এক আদিবাসী দম্পতির। মাছ চুরি রুখতে পুকুরের মালিক ওই পুকুরে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে রেখেছিল পুকুরের মালিক।
এই ঘটনায় ওই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ক্ষোভ তৈরি হয় পুকুর মালিকের বিরুদ্ধে। ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা পুকুর মালিকের বাড়িতেও ভাঙচুর চালায়। অবিলম্বে তাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মৃতদেহ আটকে রেখে বিক্ষোভও দেখান গ্রামবাসীরা।
এই ঘটনার মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই বুধবার রাতে মৃত দম্পতির বাড়িতে পৌঁছান জেলাশাসক আয়েশা রানি, পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার, বিধায়ক তথা জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি অজিত মাইতি সহ অন্যান্যরা। তাঁরা মৃত দম্পতির পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান।
এদিনের ঘটনাটিকে দুর্ভাগ্যজনক বলে স্থানীয় বিধায়ক দীনেন রায় জানান, এই এলাকাটি খুবই শান্তিপূর্ণ এলাকা। সেখানে এমন ঘটনা ভাবাই যায় না। এব্যাপারে প্রশাসন যাতে আইন অনুযায়ী উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহন করে, তারজন্য জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারকে অনুরোধ করা হয়েছে।
এদিন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৃত দম্পতির পরিবারের সদস্যদের হাতে সরকারি ক্ষতিপূরণ বাবদ ২ লক্ষ টাকা করে মোট ৪ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি, দম্পতির ১৯ বছর বয়সের বড় ছেলেকে বিশেষ কোটায় হোমগার্ডের চাকরিরও ব্যবস্থা করা হয়।
যে পুকুরে এই ঘটনা ঘটেছে, সেই পুকুরের মালিক সৈয়দ আলী একজন পঞ্চায়েত সদস্য। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে কোতোয়ালি থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে বলে পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার জানিয়েছেন। আজ ধৃতকে আদালতে তোলা হচ্ছে।
মৃত দম্পতির উপরেই গোটা সংসার নির্ভরশীল ছিল। সেখানে একসঙ্গে দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় অসহায় হয়ে পরেছে পরিবারটি। এই অবস্থায় রাজ্য সরকার এই পরিবারের পাশে দাঁড়ানোয় স্বস্তি পেলেন পরিবারের সদস্যরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন