সমকালীন প্রতিবেদন : দেশরক্ষার কাজে সারা বছর পরিবার ছেড়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কর্তব্য পালন করতে হয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানদের। পুজোপার্বনগুলিতে যখন অন্যরা পরিবারের সঙ্গে আনন্দে মেতে ওঠেন, তখন তাঁদেরকে কর্তব্য পালনে নিযুক্ত থাকতে হয়।
ভাইফোঁটার দিন এমন ভাইদের কপালে ফোঁটা দেওয়ার ব্যবস্থা করল বিজেপির মহিলা মোর্চা। বাদ যান নি বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানেরাও। বৃহস্পতিবার বসিরহাটের ঘোজাডাঙা সীমান্তে এই অভিনব ভাইফোঁটার আয়োজন করা হয়।
পরিবার থেকে অনেক দুরে থেকেও এভাবে ভাইফোঁটার আনন্দ উপভোগ করতে পারা যাবে, তা ভাবতেও পারেন নি জওয়ানেরা। এদিন সীমান্তের শূন্য পয়েন্টে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীকে একত্রিত করে এই ভাইফোঁটার আয়োজন করা হয়। একে অপরকে মিষ্টি খাইয়ে আলিঙ্গনাবদ্ধ হন।
পরিস্থিতির কারণে যারা হোমে আশ্রয় নিয়ে রয়েছে, এমন নাবালকদের ভাইফোঁটা দেওয়ার ব্যবস্থা করল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির কোরক হোম কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে হোমের আবাসিকদের ভাইফোঁটা দিল এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার খুদে সদস্যারা।
জানা গেছে, রেসকোর্স পাড়ার এই হোমে বর্তমানে ১৫২ জন আবাসিক রয়েছে। তাদের মধ্যে ১৩ জন বাংলাদেশি৷ তাদের প্রত্যেককে এদিন ভাইফোঁটা দেওয়া হয়। সঙ্গে দুপুরে খাওয়াদাওয়ারও ব্যবস্থা করা হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি দুলাল দেবনাথ, চিকিৎসক পান্থ দাসগুপ্ত সহ হোমের কর্তারা।
বয়সের ভারে এখন কাজ করার ক্ষমতা হারালেও একসময় এদের কেউ রিক্সা চালাতেন, কেউবা পরিচারিকার কাজ করতেন। সমাজের এমন পিছিয়ে পরা মানুষদের একত্রিত করে তাদেরকে ভাইফোঁটা দেওয়ার ব্যবস্থা করল বর্ধমান সদরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে এদিন নিয়ম মেনেই ভাইফোঁটা দেওয়ার আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি উপহার হিসেবে তাদের হাতে পাঞ্জাবি তুলে দেওয়া হয়। বোনেদের দেওয়া হয় শাড়ি। শেষে একসঙ্গে খাওয়া দাওয়ারও আয়োজন ছিল। গোটা ব্যবস্থাপনাটাই করেছেন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন