Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বুধবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২২

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দম্পতির মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য

 

Couple-dies-due-to-electrocution

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌মাছ চুরি আটকাতে পুকুরের জলে গোপনে বিদ্যুতের সংযোগ দিয়ে রেখেছিল পুকুরের মালিক। রাতে সেই পুকুরে নামতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হল এক আদিবাসী দম্পতির। এই ঘটনায় পুকুর মালিকের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেঁটে পরেন গ্রামবাসীরা। ‌তাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে সরব হয়েছেন গ্রামবাসীরা।

পশ্চিম মেদিনীপুর সদর থানার জামকুন্ডা এলাকার বাসিন্দা বছর ৩৫ বয়সের বাপি মান্ডি এবং তার স্ত্রী বছর ৩০ এর মুগলি মান্ডি ভোররাতে কোনও কারণে পাশের গ্রামের একটি পুকুরে যান। বুধবার সকালে তাদের নাবালক ছেলে ঘুম থেকে উঠে বাবা–মাকে দেখতে না পেয়ে খোঁজ করতে বের হয়।

অনেকক্ষণ খোঁজ করার পর মাঠের দিকে যেতে গিয়ে পাশের পুকুরপাড়ে প্রথমে তার মায়ের মৃতদেহ পরে থাকতে দেখে। সেই দৃশ্য দেখে নাবালক ছেলে বাড়িতে এসে প্রতিবেশীদের খবর দিলে তারাও পুকুরের ধারে ছুটে যান। এরপর পুকুরে নেমে নাবালকের বাবাকে খোঁজ করতে গিয়ে জলের ভেতর থেকে তার মৃতদেহও উদ্ধার হয়।

দম্পতির এই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনার খবর ছড়িয়ে পরতেই পুকুরপাড়ে ভিড় জমান গ্রামের বাসিন্দারা। তাঁরা এসে দেখেন, পুকুরের জলে বিদ্যুতের তার বিছানো রয়েছে। আর তাতেই তাদের সন্দেহ হয় যে, পুকুরের মালিক মাছ চুরি আটকাতে এই অমানবিক কাজ করেছে।

মৃত দম্পতির পরিজন বিপিন মুর্মুর অভিযোগ, পুকুরের মালিককে বার বার সতর্ক করার পরেও সে কারোর কথা সোনে নি। মাছ চুরি আটকাতে এভাবে পুকুরের ভেতরে বিদ্যুতের সংযোগ করে রাখায় অকালে দুটি তাজা প্রাণ চলে গেল। এটা মেনে নেওয়া যায় না। 

এই জোড়া মৃত্যুর ঘটনার জন্য পুকুর মালিককে দায়ী করে তার চরম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন গ্রামবাসীরা। আদিবাসীদের সরাই পরবের দিন সকালে এক আদিবাসী দম্পতির এমন মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় জামকুন্ডা এলাকায়। অভিযুক্তর বাড়ি ভাঙচুর করেন গ্রামবাসীরা।

ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় হাজির হয় পুলিশ। তারা মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য দেহ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। অন্যদিকে, ঘটনার পর বিপদ বুঝে গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছে পুকুরের মালিক। কিভাবে ওই দম্পতির মৃত্যু হল, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।






কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন