সমকালীন প্রতিবেদন : ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সোমবার সকাল থেকে দীঘার উপকূলে ঝিরঝিরে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। উত্তাল হয়ে উঠেছে সমুদ্র। বেলা যত বাড়ছে, সমুদ্রের চেহারা আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। বিপদ এড়াতে সমুদ্রের ধার থেকে পর্যটকদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি গভীর নিম্নচাপ থেকে একটু একটু করে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়া সিত্রাং মঙ্গলবার ভোররাতে বাংলাদেশের উপকূলে আছড়ে পরার কথা রয়েছে। আর তারই প্রভাবে দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে সবথেকে বেশি প্রভাব পরবে বলে জানিয়ে দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
সোমবার সকাল থেকেই এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পরতে শুরু করেছে। এদিন সকাল থেকে দুই ২৪ পরগনার পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুরে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সময় যতো এগিবে এই বৃষ্টির মাত্রা আরও বাড়বে। মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হতে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, এদিন সকাল থেকে দীঘার সমুদ্র উত্তাল হতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে যাতে কোনওভাবেই পর্যটকেরা সুমুদ্রে নেমে নিজেদের বিপদ ডেকে না আনেন, তারজন্য তৎপরতা শুরু করেছে প্রশাসন। আপাতত সমুদ্র স্নান নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এদিন সকাল থেকে পর্যটকদের সামলাতে সি বিচ ধরে মাইক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন পুলিশ কর্মীরা। টহল দিচ্ছেন বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা। সমুদ্রে নামার চেষ্টা করলে, তাদেরকে পুলিশের পক্ষ থেকে বুঝিয়ে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এদিন দীঘার সমুদ্রের ধারে পর্যবেক্ষণে যান রামনগর ১ নম্বর ব্লকের বিডিও লিপন তালুকদার। সঙ্গে ছিলেন বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এদিন সকাল থেকে কড়া নজরদারি শুরু হয়েছে।
এব্যাপারে বিডিও লিপন তালুকদার জানান, দুর্যোগ মোকাবিলায় সমস্ত ধরনের ব্যবস্থাগ্রহন করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত দীঘার সমুদ্র এলাকায় পর্যটকদের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন