সমকালীন প্রতিবেদন : পাহাড়ের বুক চিরে বয়ে গেছে নদী। চিরসবুজে ঢাকা পাহাড়ের কোল। আর তারই মাঝে ইকো পার্ক। আর সেই পার্কের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে তুলে, পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে এবারে তৈরি করা হল ভালোবাসার ফলক।
জলপাইগুড়ির ডুয়ার্সের বানারহাটের বুক চিরে যাওয়া ইন্দো–ভুটান সার্ক রোড ধরে মাত্র ১২ কিলোমিটার এগোলেই চামুর্চি বাজার। আর এই বাজারের পথ ধরে কিছুটা গেলেই মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা চামুর্চি ইকোপার্ক। এই পার্কের একপাশে রয়েছে পাহাড়, অন্যপাশে পাহাড় থেকে নেমে আসা নদী।
ডুয়ার্স বেড়াতে আসা পর্যটকদের অনেকেই এই পার্কে ঘুরতে আসেন। সেইসব পর্যটকদের কাছে এই পার্কটিকে আরও আকর্ষনীয় করে তুলতে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে তৈরি করা হল 'আই লাভ চামুর্চি' নামে একটি ভালোবাসার ফলক। নতুন এই ফলকের সামনে দাঁড়িয়ে অনেকে সেলফি তুলতেও আগ্রহী হবেন।
বানারহাট ব্লকের চামুর্চি গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে পিবিজি ফান্ডের প্রায় সাড়ে তিন লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে এই ফলক নির্মাণ করা হয়েছে। এখানকার পার্কে রাতে থাকার পাশাপাশি খাওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। খুব কাছেই রয়েছে ভুটান।
আর এমনই এক পর্যটন কেন্দ্রে নতুন এই ফলক পর্যটকদের আকৃষ্ট করবে বলে আশা করছেন এলাকার মানুষ। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের কোলে তৈরি হওয়া এই ইকো পার্কে এলে দেখা মিলতে পারে বিভিন্ন ধরনের পাখি, ময়ূর এমনকি হরিণেরও।
এখানে পর্যটকরা যেমন প্রকৃতির কোলে সতেজ বাতাস থেকে প্রাণ ভরে নি:শ্বাস নিতে পারবেন, তেমনি দেশি বিদেশি পাখির কলতানে মুগ্ধ হবেন। তারই মাঝে নতুন এই ভালোবাসার ফলক সেলফি জোন হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে বলে আশা।








কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন