Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২

২ টি ট্রাকে ৮ টন বাংলার ইলিশ ঢুকলো এই রাজ্যে

8-tons-of-Bengal-hilsa-entered

সমকালীন প্রতিবেদন : সোমবার এই মরসুমের প্রথম বাংলার ইলিশ ঢুকলো এই রাজ্যে। এদিন রাতে পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে প্রথমবারের জন্য দুটি ট্রাকে মোট ৮ টন ইলিশ ঢুকলো বলে জানিয়েছেন ক্লিয়ারিং এজেন্ট ফিরোজ মন্ডল। মরসুমের প্রথম ইলিশ আসার খবরে স্বাভাবিকভাবেই খুশির জোয়ার ব্যবসায়ীদের মধ্যে। 

বাংলাদেশের আভ্যন্তরীন নিষেধাজ্ঞা জারির কারণে ২০১২ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ রপ্তানী বন্ধ ছিল। ভারতের পক্ষ থেকে অনেক চেষ্টার পর অবশেষে ২০১৯ সাল থেকে ফের পদ্মার ইলিশ আসতে শুরু করে এই রাজ্যে।


গত বছর সময়ের অভাবে মাত্র ১ হাজার ৪০০ টন ইলিশ ভারতে আমদানি হয়। এবছর তাই একটু আগে থেকেই ইলিশ রপ্তানীর উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এবছর প্রায় ৫ হাজার টন পদ্মার ইলিশ ভারতে আমদানি হবে বলে জানা গেছে। 

প্রতি মরসুমে ইলিশের সরবরাহে যাতে কোনও বাধা না পরে, তারজন্য বাংলাদেশ সরকার একটি নির্দিষ্ট সময়ে ইলিশ মাছ ধরা, বিক্রি করা, পরিবহন করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। মূলত অক্টোবর মাসের ৭ তারিখ থেকে ২২ দিনের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকে। 

এই সময় শুরু হবার আগেই যাতে সমস্ত মাছ ভারতে পাঠানো যায়, তার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। আজ, সোমবার প্রথম চালানে ‌২ টি ট্রাকে ৮ টন পদ্মার ইলিশ পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করলো। এদিন দুপুরেই বাংলাদেশের বেনাপোল সীমান্তে মাছভর্তি ট্রাক এসে পৌঁছায়। 

এরপর কাগজপত্রের কাজ শেষ করে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের মাটিতে প্রবেশ করতে রাত হয়ে যায়। পেট্রাপোল সীমান্তে প্রবেশের পর সেই মাছবোঝাই বাক্স ট্রাক বদল করে সোজা কলকাতা এবং হাওড়ার পাইকারি বাজারে চলে যায়। সেখান থেকে মঙ্গলবার ছড়িয়ে পরবে রাজ্যের বিভিন্ন খুচরো বাজারে।

জানা গেছে, আমদানি হওয়া বাংলাদেশের পদ্মার এই ইলিশ মাছের ওজন ৫০০ গ্রাম থেকে ১ কিলো ২০০ গ্রামের মধ্যে। আমদানিকারীদের এই মাছ গড়ে কিলোপ্রতি ১০ ডলারে কিনতে হচ্ছে। 

এরপর বাকি খরচ মিলিয়ে ভারতীয় টাকায় তাঁদের কেনার খরচ পরে যাচ্ছে কিলো প্রতি প্রায় ৯০০ টাকা। ফলে সেই মাছ খুচরো বাজারে ১০০০ টাকার নিচে বিক্রি হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন