Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

রবিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২২

ফুটপাতের স্টেশনারী দোকানে মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য বিক্রির অভিযোগ

Sale-of-expired-food-items

সমকালীন প্রতিবেদন : ফুটপাতের দোকানে দেদার বিক্রি হচ্ছিল মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্যসামগ্রী। এক সচেতন ক্রেতা তা দেখতে পেয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিনিধিদের জানালেন। ব্যবসায়ী সমিতির মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ এসে সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিল দোকানটি। আটক করা হয়েছে দোকানের মালিককে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বেশ কিছু খাদ্যসামগ্রী।

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার চাঁদপাড়ার পাটপট্টি বাজার এলাকায় ফুটপাতের উপর একটি স্টেশনারী দোকান রয়েছে। আগে এটি চায়ের দোকান ছিল। পরবর্তীতে সেটি স্টেশনারী দোকানে রূপান্তরিত হয়।

শনিবার রাতে একজন ক্রেতা ওই দোকানে একটি ঠান্ডা পানীয় কিনতে যান। সচেতন ওই ক্রেতা পানীয়র মেয়াদ দেখতে গিয়ে দেখেন, প্রায় এক বছর আগে ওই পানীয়র মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। এব্যাপারে ওই ক্রেতা কার্তিক বিশ্বাস নামে ওই দোকানের মালিককে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বিষয়টি গুরুত্ব দিতে চান নি বলে ওই ক্রেতার অভিযোগ।

এরপর ওই ক্রেতা স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির এক সদস্যকে জানান। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতার প্রমাণ পান। এরপরই তিনি বিষয়টি গাইঘাটা থানায় জানান। ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যের বক্তব্য, মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্যসামগ্রী বিক্রি করা অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং যথেষ্ট অপরাধ। এব্যাপারে সমিতি বৈঠক করে ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করবে। 

ঘটনার খবর পেয়ে এদিন গাইঘাটা থানার পুলিশ ওই দোকানে এসে অভিযোগ খতিয়ে দেখে। পুলিশও দেখে যে, ওই দোকানে মেয়াদ উত্তীর্ণ একাধিক খাদ্যসামগ্রী মজুত করা রয়েছে। এরপরই পুলিশ দোকানটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়। ওই দোকান থেকে বেশ কিছু খাদ্যসামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। দোকানের মালিকের ছেলেকে আটক করা হয়েছে। 

এব্যাপারে অবশ্য দোকানের মালিক কার্তিক বিশ্বাসের ছেলে কৌশিক বিশ্বাস জানান, তিনি এবং তার বাবা দোকান চালান। তার দাবি, মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্যসামগ্রীগুলি বিক্রির জন্য নয়, বদলানোর জন্য দোকানের একপাশে রাখা ছিল। যদিও এই যুক্তি মানতে নারাজ স্থানীয়রা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বেশি লাভের উদ্দেশ্যে সম্ভবত মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্যসামগ্রীগুলি দোকানে বিক্রি করা হচ্ছিল। এরমধ্যে বাচ্চাদের খাদ্যদ্রব্যও রয়েছে। এমন ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে সবপক্ষই। এখন দেখার প্রশাসন এবং স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতি এব্যাপারে কী পদক্ষেপ করে।





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন