সমকালীন প্রতিবেদন : দৃশ্যমাধ্যম সবসময়ই মনে রাখার ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। আর সেকথা মাথায় রেখেই রাজ্য সরকার চালু করেছে 'বালা' (বিল্ডিং অ্যাস লার্নিং এইড) প্রকল্প। এই প্রকল্পে স্কুলের দেওয়ালই হয়ে উঠবে শিক্ষার সরঞ্জাম। প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত স্কুলে এই বিষয়টির উপর জোর দিয়েছে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর।
দেশের ৭৬তম স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে রবিবার বনগাঁ মহকুমার গোপালনগর চক্রের অর্ন্তগত চালকী অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এদিন প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের গোপালনগর চক্রের স্কুল পরিদর্শক কুশল চক্রবর্তী নিজেই তুলি দিয়ে স্কুলের দেওয়ালে ছবি আঁকতে শুরু করেন।
আসলে, বালা প্রকল্পে স্কুলের দেওয়ালকেই পড়াশোনার সরঞ্জাম হিসেবে গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে। যেখানে স্কুলের দেওয়ালে পাঠ্যপুস্তকের বিষয়গুলি ছবির আকারে ফুটে উঠবে। পড়ুয়ারা খেলার ছলে সেই ছবি দেখে অতি সহজে তাদের পড়ার বিষয়বস্তুগুলি অনুধাবন করতে পারবে।
বালা প্রকল্প চালু হবার অনেক আগে থেকেই অবশ্য নিজেদের স্কুলের শ্রেণীকক্ষকে অন্যভাবে সাজিয়ে তুলেছে গোপালনগরের চালকী অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই স্কুলে গিয়ে দেখা গেল, স্কুলের দেওয়াল নানা ছবিতে ভরা।
সেখানে যেমন রয়েছে অ, আ, ক, খ তেমনই রয়েছে সপ্তাহের ৭ দিনের নাম, পদের প্রকারভেদ, পানীয় জলের ব্যবহার, বৃক্ষ সংরক্ষণ ইত্যাদির মতো বিষয়। পাঠ্যপুস্তকের বিষয়গুলি চোখের সামনে ছবির আকারে দেখে যাতে পড়ুয়ারা সহজে তা বুঝতে পারে, মনে রাখতে পারে এবং তারা পড়াশোনার ব্যাপারে আগ্রহী হয়, তারজন্যই এমন ব্যবস্থা বলে জানালেন স্কুলের শিক্ষকেরা।
শুধু চালকী নয়, গ্রামাঞ্চলের বহু স্কুলই এখন তাদের পড়ুয়াদের পড়াশোনার প্রতি আকৃষ্ট করতে এভাবেই নিজেদের স্কুলের শ্রেণীকক্ষগুলিকে রঙিন করে তুলছেন। আর তার সুফলও মিলছে। আগামী দিনগুলিতে রাজ্যের সমস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি এভাবেই সেজে উঠুক, এমনই চাইছেন অভিভাবকেরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন